আজঃ মঙ্গলবার ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

শাহজাদপুরে বিএনপির কান্ডারী ও অভিভাবক ড. এম.এ মুহিত কে সামনে রেখে কর্মী হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সেবা করতে চাই – মোঃ আব্দুল জব্বার

‎মোঃ মোসলেম উদ্দিন সিরাজী স্টাফ রিপোর্টার,‎সিরাজগঞ্জ

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন


‎বীরমুক্তিযোদ্ধা মহান মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের একজন সৈনিক শাহজাদপুরের জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি মোঃ আব্দুল জব্বার। জাতীয়ভাবে দুইবার স্বর্ণপদক প্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক। তিনি মরহুম ঈমান আলী প্রামানিকের সন্তান। গাড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার দীর্ঘ নয় বছর চেয়ারম্যান থেকে দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের প্রিয় চেয়ারম্যান ও নেতায় পরিচিত হয়েছেন। জনপ্রিয় চেয়ারম্যান হিসেবে তার কর্তব্য নিষ্ঠায় জনসেবার কারণে জাতীয়ভাবে দুইবার স্বর্ণপদক পেয়েছেন, সাতবার জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। যার কারণে সরকারিভাবে দুইবার বিদেশ ভ্রমণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তি, বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি এখন শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে সততা, দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। মোঃ আব্দুল জব্বার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক হিসেবে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দেশ নায়ক জনাব তারেক রহমানের আদেশ নির্দেশ মেনে বিএনপির রাজনীতি কে আরো গতিশীল করতে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। বিএনপির একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে প্রতিপক্ষ আওয়ামীলীগ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নির্যাতন, মামলা, হামলার স্বীকার হয়েছেন একাধিকবার।

তিনি কারাভোগ করেছেন দীর্ঘদিন। বিএনপির কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আন্দোলনরত অবস্থায় রাজপথ থেকেই চারবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো। জনপ্রিয় চেয়ারম্যান শিক্ষানুরাগী এবং সমাজসেবক আব্দুল জব্বার শাহজাদপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ব্যাপক উন্নয়নের অবদান রেখেছেন। তিনি বলেন, স্থানীয় রাজনীতিতে ড. এম.এ মুহিত সাহেব কে সামনে রেখে পথ চলতে চাই। আব্দুল জব্বার আরো বলেছেন ড. এম.এ মুহিত এখানে জনপ্রিয় নেতা। তার কারণে শাহজাদপুরে সবাই ঐক্যবদ্ধ আছে, দলের মধ্য কোনো বিভেদ নেই।

তিনি আরো বলেছেন, সিরাজগঞ্জের প্রথম উন্নয়নের রুপকার, সাবেক মন্ত্রী, এশিয়া মহাদেশের অন্যতম চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সর্বজন শ্রদ্ধেয় রাজনীতিবিদ ডাঃ এম.এ মতিনের সুযোগ্য সন্তান ড. এম.এ মুহিত বিএনপির পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, নিজেকে কর্মী বান্ধব নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে নেতা-কর্মীদের সুখে, দুঃখে পাশে থেকে তাদের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। বিএনপির সকল স্তরের কর্মীদের নিকট তিনি তার বাবার মত জনপ্রিয় নেতায় পরিচিত হয়েছেন।

আওয়ামী দুঃশাসনের সাড়ে পনেরো বছর দলের দুঃসময়ে নেতা-কর্মীদের অর্থ দিয়ে, নেতা-কর্মীদের নামে হওয়া মামলার দেখভাল করেছেন আইনগত সহায়তা দিয়েছেন। নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির সকল কর্মসূচি পালন ও বাস্তবায়ন করতে সহযোগিতা করেছেন। শাহজাদপুরে আমরা ড. এম.এ মুহিত সাহেব কে সামনে রেখে পথ চলতে চাই। বিএনপির

চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দেশ নায়ক জনাব তারেক রহমানের আদেশ নির্দেশ মেনে বিএনপির রাজনীতিকে আরো গতিশীল করতে তার সাথে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ সামনের দিনে আরো ভালো কিছু আশা করেছি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে ৫৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ, সাবেক ভুমিমন্ত্রীর ভাই-বোনের বিরুদ্ধে আট মামলা।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের ভাই-বোনদের বিরুদ্ধে আটটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ এসব মামলা করা হয়েছে বলে সংস্থাটির

উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ জানিয়েছেন। গ্রামের প্রান্তিক লোকজনকে ব্যবসায়ী সাজিয়ে নিজ মালিকানাধীন ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবিএল) থেকে প্রায় ৫৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচারের অভিযোগে মামলাগুলো করা হয়েছে। মামলায় জাবেদ পরিবারের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন কর্মচারী এবং ইউসিবিএল ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তাকেও আসামি করা হয়েছে। মামলায় দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ১৯৪৭ এর ৫(২) এবং মানিলান্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ও (৩) ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

আট মামলার প্রতিটিতে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের ছোট ভাই ও ব্যাংকটির তৎকালীন পরিচালক আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি আসামি হিসেবে আছেন। সাতটি মামলায় ব্যাংকটির আরেক পরিচালক জাবেদের আরেক ভাই আসিফুজ্জামান চৌধুরী আসামি হিসেবে আছেন। তিনটি মামলায় জাবেদের বোন ব্যাংকটির সাবেক পরিচালক রোকসানা জামান চৌধুরীকে আসামি করা হয়েছে।এছাড়া ইউসিবিএল’র বিভিন্ন বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা, পরিচালনা পর্ষদের কয়েকজন সদস্য এবং জাবেদ পরিবারের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের আরও কয়েকজন কর্মচারীকে প্রতিটি মামলায় আসামি করা হয়েছে।

যাদের ব্যবসায়ী সাজিয়ে ঋণ নেওয়া হয়েছে তারা হলেন- সেলুন কর্মচারী রাজধন সুশীল, কৃষক মো. মাঈন উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন, জসিম উদ্দিন ও নুরুল ইসলাম, প্রবাসী সাইফু উদ্দিন, ফুটবল খেলোয়াড় দিদারুল আলম এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক আমির হামজা।
আটটি মামলায় মোট ৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, গ্রামের সহজ-সরল লোকজনের কাছ থেকে কৌশলে বিভিন্ন তথ্য ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়ে তাদের নামে ইউসিবিএল-এ হিসেব খোলা হয়।

এরপর তাদের নামে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হয়। আর জাবেদ পরিবারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের নামে খোলা একই ব্যাংকের হিসেব নম্বরে সেই টাকা স্থানান্তর করে পরবর্তীতে তা তুলে নিয়ে আত্মসাত করা হয়েছে।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালে এ অনিয়ম ও জালিয়াতি সংঘটিত হওয়ার সময় ভূমিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। তখন ব্যাংকে জাবেদ ও তার স্ত্রী রুকমিলা জামানের একচ্ছত্র প্রভাব ছিল। জাবেদের ভাই-বোন ও পরিচালনা পর্ষদের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সদস্য প্রভাব সৃষ্টি করে ঋণ অনুমোদন করেন এবং সেগুলো মিলেমিশে আত্মসাত করেন।

একই প্রক্রিয়ায় প্রায় ৩২ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে গত নভেম্বরে আরও চারটি মামলা করেছিল দুদক।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ প্রয়াত শিল্পপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা আক্তারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর বড় ছেলে। তাদের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায়। সেখান থেকে বাবু একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। জাবেদ প্রথমে সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী হিসেবে

পারিবারিক ব্যবসা আরামিট গ্রুপ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড দেখাশোনা করতেন। ব্যবসায়ী সংগঠন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করেন। তার বাবাও একই সংগঠনের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
২০১২ সালে আক্তারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর মৃত্যুর পর সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের রাজনীতিতে অভিষেক হয়। সরাসরি সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন পেয়ে ‘খালি মাঠে গোল দেন’। এরপর ২০১৪ সালে ও ২০১৮ সালে দু’বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। এরমধ্যে প্রথমবার প্রতিমন্ত্রী ও দ্বিতীয় দফায় পূর্ণমন্ত্রী ছিলেন। ২০২৪ সালে আবারও মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে মন্ত্রীসভায় আর জায়গা হয়নি।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগেই সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। পরে লন্ডনে তার অবস্থানের তথ্য প্রকাশ হয় গণমাধ্যমে। এর আগে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের বিরুদ্ধে ১৪০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মানিলন্ডারিং আইনে ছয়টি মামলা করেছিল দুদক। এসব মামলায় জাবেদের স্ত্রী রুকমিলা জামানসহ পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য আসামি হিসেবে আছেন।

তারেক রহমানই হবেন জনগণের কাঙ্খিত বাংলাদেশ গড়ার স্থপতি।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম-৯ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেছেন, পতিত আওয়ামী লীগ যারা বাংলাদেশকে ভারতের করদরাজ্যে করতে চেয়েছিল তারা আজ গুপ্তহত্যায় মেতে উঠেছে। নির্বাচনকে ভন্ডুল করতে তারা আবারোও পুরোনো কায়দায় দেশে ভীতিকর ও নৈরাজ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে। দেশকে অস্থিতিশীল করে তারা বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।

তারা চায়না গণতন্ত্র ফিরে আসুক। জনগণ তার অধিকার ফিরে পাক। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হোক। তাই দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের স্বার্থে সবাইকে এক কাতারে আসতে হবে। দেশী-বিদেশী সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যেতে হবে। গণতন্ত্রের পথে যারাই বাধা হয়ে আসবে তাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। আওয়ামী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বুলেটের জবাব ব্যালটের মাধ্যমে দিতে হবে।

রবিবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর কাপাসগোলা এলাকায় ১৬নং চকবাজার ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর পর আগামী ২৫শে ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করবেন। গোটা জাতি তার অপেক্ষায় রয়েছে। দেশের এই চরম ক্রান্তিলগ্নে তিনি দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে রেখেছেন। তারেক রহমান সুযোগ্য নেতৃত্বে গণতন্ত্রের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। জনগণের প্রত্যাশা, তাঁর সুচিন্তিত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে অতী দ্রুত সেরে উঠবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জনগণ যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে, তারেক রহমানই হবেন সে সাম্য, মানবিক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্থপতি।

চকবাজার থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মঞ্জুর আলম এর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য আনোয়ার হোসেন লিপু, মো. মহসিন, সালাউদ্দিন কায়সার লাভু, রমজু মিয়া, খালেদ সাইফুল্লাহ। এম এ হালিম বাবলুর পরিচালনায় বক্তব্য দেন শফিকুল আলম, মো. বকতেয়ার, জাহেদুল আলম জাকু, এম এ হামিদ, আবু আহমেদ, এস এম আবু ছালেহ, নকীব উদ্দিন ভূইয়া, জহিরুল আলম, হাজী মহিউদ্দিন, লুৎফর নেছা, নাজমা বেগম, আলী হায়দার বাবু, নুরুল আলম শিপু, ওসমান গনি লিটন, জসিম উদ্দিন, মো. আনাস, আলাউদ্দিন আলো, রাহাতউল্লাহ রবিন, এমরান হোসেন লিটন, বাপ্পী দে, আমির খসরু রাজু, আলমগীর, ওসমান, ইব্রাহিম প্রমুখ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ