আজঃ মঙ্গলবার ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে পিস এওয়ার্ড পেলেন শামীমা নাইস

‎মোঃ মোসলেম উদ্দিন সিরাজী স্টাফ রিপোর্টার,‎সিরাজগঞ্জ

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন


‎কথাসাহিত্যে  ইন্টারন্যাশনাল হিউমান রাইটস পিস এওয়ার্ড-২৫ পেয়েছেন কথাশিল্পী শামীমা নাইস। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য তাকে এ সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়েছে এ অনুষ্ঠানে মানবাধিকার সংগঠনটির চেয়ারম্যান এইচ এম মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি শিকদার মকবুল হক।

মানবাধিকারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ  অন্যান্য গুণীজনের সাথে শামীমা নাইসকে কথাসাহিত্যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার শান্তি পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। উল্লেখ্য, শামীমা নাইস ইতোপূর্বে বিভিন্ন সংগঠন  থেকে কথা সাহিত্যে পুরস্কার পেয়েছেন I তিনি পেশাগত জীবনে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহীর জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন৷

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মালেক শাহ (রাহ:) হুজুরের বার্ষিক ফাতিহা উপলক্ষে কুতুবদিয়ার ইউএনও’র সঙ্গে দরবার কমিটির মতবিনিময়

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আগামী ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য হজরত শাহ আব্দুল মালেক আল কুতুবী মুহিউদ্দিন আজমী (রাহ:) এর ২৬তম বার্ষিক ওরস-ফাতিহা শরীফ উপলক্ষে কুতুব শরীফ দরবারে আগত লাখ-লাখ ভক্ত-অনুরক্তদের নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করতে কুতুবদিয়া উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা করেছে কুতুব শরীফ দরবার কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন কুতুব শরীফ দরবারের প্রধান উপদেষ্টা শাহজাদা আল্লামা এম. এম. মুনিরুল মন্নান আল-মাদানী। সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ জামশেদ আলম রানার সঙ্গে বার্ষিক ওরস ও ফাতিহা শরীফ উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি ও জনদুর্ভোগ লাঘবে করণীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়।


দরবার কর্তৃপক্ষ সভায় জানান, বার্ষিক ওরস ও ফাতিহা শরীফ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে অন্তত ৮ থেকে ১০ লাখ ভক্ত-অনুরক্ত কুতুব শরীফ দরবারে আগমন করেন। এ সময় যেন কোনো প্রকার হয়রানি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বা বিশৃঙ্খলা না ঘটে, সে লক্ষ্যে আগামী ২৮, ২৯, ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত পর্যাপ্ত ডেনিস বোটসহ অন্যান্য নৌযান ২৪ ঘণ্টা চালু রাখা, নৌযানে সর্বোচ্চ ৫০ জন যাত্রী পরিবহন নিশ্চিত করা, জেটিঘাটসমূহে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন, সার্বক্ষণিক প্রশাসনিক নজরদারি, মোবাইল টয়লেট স্থাপনসহ সম্ভাব্য আরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ জামশেদ আলম রানা দরবার কর্তৃপক্ষের দাবিগুলো আন্তরিকতার সঙ্গে শুনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সাধারণ ভক্ত-অনুরক্তদের সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাকিবুল আলম। এছাড়া দরবার কর্তৃক গঠিত উপ-কমিটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আকবর খান, কুতুবদিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম. এম. হাছান কুতুবী এবং মোরশেদুল মন্নান।
এ সময় স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নজরুল ইসলাম, আবুল কাশেম, শাহেদুল ইসলাম মনির, মো: মনিরুল ইসলাম, আনিছুর রহমান হীরু, হাছান মাহমুদ সুজন, মহিউদ্দিন, নাছির উদ্দিন, হানিফ কুতুবী সহ আরও অনেকে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

দেশব্যাপী মব সন্ত্রাসে উদীচী-ছায়ানট, প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে অগ্নি সংযোগ, ভাংচুর, লুটপাট, সাংবাদিক নিপীড়ন, পিটিয়ে মানুষ হত্যা, জ্বালিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে পাবনায় প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২২ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ১১টায় শহরের আব্দুল হামিদ সড়ক প্রেসক্লাবের সামনে সাংস্কৃতিক কর্মী মির্জা রানার আয়োজনে আহ্বান ঘন্টাব্যাপী এ প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় দেশের চলমান সহিংসতা মাধ্যমে গুম, খুন, লুটপাট, জ্বালাও পোড়াও এবং মব সৃষ্টির মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার প্রতিবাদে হুশিয়ারি দেওয়া হয়। এবং সেইসাথে এসব অরাজকতার বিরুদ্ধে জনগণকে সাথে নিয়ে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। উক্ত প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক কর্মী ভাস্কর চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম হীরা,ফিরোজ খন্দকার, দিবাকর চক্রবর্তী, তিমির হায়দার, আবদুল হাফিজ রতন, বিপ্লব ভৌমিক,সামুন সাব্বির সহ পাবনার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন সুশীল সমাজের নেতাকর্মী বৃন্দ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ