আজঃ শুক্রবার ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

কুষ্টিয়ায় বৈদ্যুতিক খুঁটি মাঝে রেখেই বাড়ানো হচ্ছে সড়ক।

হৃদয় রায়হান কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কুষ্টিয়ার খোকসায় সড়কের মাঝেই বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখে সাড়ে ১১ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত করা হচ্ছে। এছাড়া একটি খালের সুইচগেটসহ একাধিক বস্ক কালভার্টের গাইড ওয়াল ঢেকে দিয়ে রাস্তা করায় পথচারীদের কাছে বর্তমানে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে সড়কটি।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার জানিপুর ও বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের প্রায় ১০ গ্রামের মানুষ এ সড়ক দিয়ে সদরে যাতায়াত করেন। কিন্তু ১১ কিলোমিটার ৫৩৫ মিটার সড়কে খানা-খন্দ থাকায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে রয়েছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরে আর সি আই পি প্রকল্পের অধীন ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তা মেরামতের টেন্ডার হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদাস কার্যাদেশ পাওয়ার পর কমলাপুর-একতারপুর জিসি রোড, বহরমপুর-বনগ্রাম ভায়া কাতলাগাড়ি ঘাট ও চাঁদট-বনগ্রাম বাজার পর্যন্ত রাস্তা পাকা করনের কাজ শুরু করে। রাস্তার সিংহ ভাগ অংশে তিন ফুট চওড়া ও দুই ফুট গভীর গর্ত খুঁড়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। ফলে এ রাস্তায় চলাচলকারীরা ভোগান্তিতে পরে। ইতোমধ্যে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অপরিকল্পিতভাবে এসব রাস্তার মাঝে বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন করে। সম্প্রতি নির্মাণ করা লাইনের প্রায় ১১৫টি বৈদ্যুতিক খুঁটি রাস্তার তিন ফুট ভিতরে চলে যায়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাস্তার ভিতর বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখে রাস্তা পাকা করার কাজ শুরু করে।

এ ছাড়া চাঁদট খালের উৎস মুখের সুইচ গেটসহ একাধিক বস্ক কালভার্টের গাইড ওয়াল থেকে এক দেড় ফুট উঁচু করে রাস্তা সংস্কার কাজ করে। তবে গ্রামবাসীরা এভাবে রাস্তা তৈরিতে বাঁধা দেয়। কিন্তু বাঁধা উপেক্ষা করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বহরম পুর-বনগ্রাম ভায়া কাতলাগারি ঘাট ও চাঁদট-বনগ্রাম বাজার পর্যন্ত রাস্তার ম্যাকাড্রামের কাজ শেষ করেছে। এ কাজের মান নিয়েও এলাকাবাসীদের অভিযোগ রয়েছে। এখন বাকি শুধু কার্পেটিং করা।

বনগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাসেল উদ্দিন বলেন, রাস্তার ৩-৪ ফুট ভিতরে পল্লী বিদ্যুতের অসংখ্য খুঁটি রেখে কাজ করা হয়েছে। খুঁটি সরানোর বিষয়ে ঠিকাদারকে জানানো হয়েছে, কিন্তু তারা রাস্তার ভিতরে বিদ্যুতের খুঁটি রেখে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু স্থানে রাস্তা উঁচু করায় সুইচ গেটসহ একাধিক বস্ক কালভার্টের অস্তিত্ব বোঝা যাচ্ছে না। ফলে অন্য গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটতে পারে। রাস্তাটি এখন মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বনগ্রাম পশ্চিমপাড়ার বৃদ্ধ তোফাজ্জেল হোসেন জানান, পাকা রাস্তার ভিতরে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখে কাজ করার সময় তারা বাঁধা দিয়েছিলেন। চেয়ারম্যান মেম্বরদের কথা কেউ শোনে না। খুঁটি রেখেই রাস্তা করা হয়েছে। খুঁটির কারণে ফসলের গাড়ি বাড়িতে নিতে সমস্যা হচ্ছে। অটোভ্যান চলাচলেও সমস্যা হয়। খালের সুইগেটের পাশের ওয়াল রাস্তার মাটির নিচে চলে গেছে। খাল আছে বোঝা যাচ্ছে না। কেউ ভুল করলেই প্রায় ২০/২৫ হাত গভীর খালের নিচে গিয়ে পড়ে যাবে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদাসের প্রতিনিধি আব্দুল হালিমের মোবাইলফোনে কল দিলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন। এলজিউডির কার্যসহকারী সাইদুল ইসলাম বলেন, রাস্তার ভেতর থেকে বৈদ্যুতিক খুঁটি তোলার জন্য উপর মহলে আলোচনা চলছে।

এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রাজু আহমেদ জানান, রাস্তার মাঝখান থেকে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কথা চলছে। তবে খালের সুইচ গেট ও বস্ক কালভার্টের গাইড ওয়াল সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। মানুষের প্রাণহানী করে এমন কাজ করা ঠিক হবে না। ভিজিট করে ব্যবস্থা নেয়ো হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মহানগরে এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩৭ জনের প্রাণহানি, অর্ধেকেরও বেশি পথচারী।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২০২৪ সালে এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি পথচারী। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) যৌথ সড়ক নিরাপত্তা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বুধবার দুপুরে নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনে সিএমপির সম্মেলন কক্ষে ‘চট্টগ্রাম সিটি রোড সেফটি রিপোর্ট ২০২৫’ প্রকাশ করা হয়েছে। ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেইফটি (বিআইজিআরএস) কর্মসূচির আওতায় প্রতিবছরের ডিসেম্বরে ২০১৭ সাল থেকে আগের বছরের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

এবারও ২০১৭ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আট বছরে সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তৃতীয়বারের মতো প্রকাশিত সড়ক নিরাপত্তা প্রতিবেদন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আট বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৬২ জন নিহত হয়েছেন। গতবছর প্রকাশিত প্রতিবেদনে ২০১৭ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় ৫২৫ জনের প্রাণহানির তথ্য দেওয়া হয়েছিল। এ হিসেবে ২০২৪ সালে এক বছরে নিহতের সংখ্যা ১৩৭।

২০১৭ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মৃত্যুর হার বেড়েছে ২৯ শতাংশ। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছেন পথচারী, প্রায় ৩৬৩ জন, যা মোট নিহতের অর্ধেকেরও বেশি। পথচারীর পর সবচেয়ে ঝুঁকিতে ছিলেন দুই ও তিন চাকার যানবাহনের যাত্রী এবং চালকরা, নিহত হয়েছেন ১৯৫ জন।

সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রতিবেদনে ২০টি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে বিজ্ঞানসম্মতভাবে সেগুলোর ত্রুটি সমাধানের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- নগরীর বড়পোল মোড়, অলংকার মোড়, সিইপিজেড গেট, সিটি গেট, নিউমার্কেট বাসস্টপ, কালামিয়া বাজার বাসস্টপ এবং সাগরিকা গোলচত্বর। বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য সংস্থা ভাইটাল স্ট্যাটেজিসের সহায়তায় তৈরি সমীক্ষা প্রতিবেদনের মূল তথ্য উপস্থাপন করেন বিআইজিআরএস’র সার্ভেইলেন্স কোঅর্ডিনেটর কাজী সাইফুন নেওয়াজ।

সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) মো. হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে ও বিআইজিআরএস চট্টগ্রামের ইনিশিয়েটিভ কোঅর্ডিনেটর লাবিব তাজওয়ান উৎসবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ওয়াহিদুল হক চৌধুরী এবং চসিকের প্রধান প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান সোহেল।

অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ওয়াহিদুল হক চৌধুরী জানান, সিএমপি ইতোমধ্যে একটি রোড সেফটি সেল গঠন করেছে। রোড ক্র্যাশের তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রণয়ন করেছে। ভবিষ্যতে এই সেল থেকে প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হবে। এসব প্রতিবেদন নীতিনির্ধারক, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, নগর পরিকল্পনাবিদসহ বিভিন্ন অংশীজনের জন্য একটি দিকনির্দেশক হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

ফখরুল-সালাউদ্দিন-আব্বাসকে জড়িয়ে ধরলেন তারেক রহমান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে কেন্দ্রীয় নেতারা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সালাউদ্দিন আহমেদ, মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা তারেক রহমানকে জড়িয়ে ধরে শুভেচ্ছা জানান।

আলোচিত খবর

জুলাই সনদ সমর্থন করলে গণভোটে অবশ্যই হ্যাঁ ভোট দিন-প্রধান উপদেষ্টা।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

জুলাই সনদ সমর্থন করলে গণভোটে অবশ্যই হ্যাঁ সমর্থন
দিন-প্রধান উপদেষ্টা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ