আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন,চসিক কাউন্সিলর বাচ্চু ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

চট্টগ্রাম অফিস:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বৈধ ও গ্রহণযোগ্য দোকান ভাড়া বাবদ আয়ের উৎস পাওয়া গেছে ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৬০০ টাকা। কিন্তু দুদক খুঁজে পেয়েছে ৯৯ লাখ ৩৪ হাজার ৩৪৫ টাকার সম্পদ। এক্ষেত্রে ৯৪ লাখ ৩৮ হাজার ৭৪৫ টাকা আয়ের চেয়ে বেশি সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখেছেন নগরীর এনায়েত বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর সলিম উল্যাহ বাচ্চুর স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা। বাচ্চুর সহযোগিতায় এবং তার অসাধু উপায়ে অর্জিত অর্থ বৈধ করতে তার স্ত্রী নানা কূটকৌশলে এসব অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। আয়ের উৎস হিসেবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন নানা ব্যবসা এবং মৎস্য চাষ প্রদর্শন করেছেন।
বৈধ আয় পাঁচ লাখ টাকা, পাওয়া গেছে কোটি টাকার সম্পদ আয়ের উৎসে মৎস্য চাষসহ ভিত্তিহীন নানা ব্যবসার ফিরিস্তির অভিযোগও মিলেছে। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের এ ঘটনায় গতকাল রোববার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম–১ এ কাউন্সিলর মো. সলিম উল্যাহ ও তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। কার্যালয়ের উপ সহকারী পরিচালক সবুজ হোসেন মামলাটি দায়ের করেন।

দুদক জানায়, কাউন্সিলর পত্নী আয়েশা ছিদ্দিকা ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। এতে তিনি নিজ নামে কোনও অস্থাবর সম্পদের ঘোষণা দেননি। তবে একটি দলিল মূলে এবং একটি বাণিজ্যিক ও একটি ফ্ল্যাট চুক্তিমূলে ক্রয় বাবদ ১ কোটি ৮৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ থাকার কথা উল্লেখ করেন।
যাচাই করলে দেখা যায়, আয়েশা সিদ্দিকা ১ কোটি ৭৯ লাখ ১৩ হাজার ৫৪৪ টাকার স্থাবর ও ১ লাখ ৩৪ হাজার ২০১ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। ৯৬ লাখ ৪৮ হাজার টাকার দায় রয়েছে আয়েশা সিদ্দিকার উল্লেখ করে মামলার এজাহারে বলা হয়, এ দায় বাদে তার নিট সম্পদের পরিমাণ ৮৩ লাখ ৯৯ হাজার ৭৪৫ টাকা এবং একই সময়ে তিনি ১৫ লাখ ৩৪ হাজার ৬০০ টাকা পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় করেছেন। এসবসহ তার মোট অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ৯৯ লাখ ৩৪ হাজার ৩৪৫ টাকা। বিপরীতে তার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য দোকান ভাড়া বাবদ আয়ের উৎস পাওয়া গেছে ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৬০০ টাকা। এক্ষেত্রে তিনি ৯৪ লাখ ৩৮ হাজার ৭৪৫ টাকা আয়ের চেয়ে বেশি সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখেছেন। সম্পদ বিবরণীতে আয়েশা সিদ্দিকা আয়ের উৎস হিসেবে ব্যবসার আয়, মৎস্য আয় ও দোকান ভাড়ার বিপরীতে অগ্রিম গ্রহণের বিষয় উল্লেখ করেন।
অনুসন্ধানের সময় মো. সলিম উল্যাহ দুদককে জানান, তার স্ত্রীর সকল ব্যবসা ও মৎস্য চাষ তিনি পরিচালনা করেছিলেন। কিন্তু তারা ব্যবসা বাবদ প্রদর্শিত আয়ের বিপরীতে ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স, দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র, ক্রয়–বিক্রয়ের চালান/ভাউচার কোনো কিছুর রেকর্ডপত্র দাখিল করতে পারেন নি। দুদক জানায়, আয়েশা সিদ্দিকার আয়কর রিটার্নে পর্যাক্রমে ২০০১–২০০২ করবর্ষ থেকে ২০১৯–২০২০ করবর্ষে ব্যবসা আয় বাবদ প্রদর্শিত ৪১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৯৫ টাকা গ্রহণযোগ্য নয়। সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে তার ব্যবসার কোনও অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এছাড়াও আয়েশা সিদ্দিকা মৎস্য চাষের জন্য ২০০৭ সালের ৫ জানুয়ারি নগরীর দক্ষিণ কাট্টলীর বাসিন্দা আবু সাঈদ চৌধুরীর (সম্রাট) সাথে যে চুক্তিপত্র করেছেন তা খতিয়ে দেখার পর মিথ্যা বলে প্রতীয়মান হয়েছে।
দুদক জানায়, মো. সলিম উল্যাহ জম জম হ্যাচারি লাগিয়ত তিন ফর্দ চুক্তিপত্র উপস্থাপন করেন। গত ১৭ আগস্ট তা জব্দ করা হয়। জব্দকৃত তিন ফর্দ চুক্তিপত্রে ৭৫ টাকা মূল্যমানের দুটি স্ট্যাম্প রয়েছে। এ দুটি স্ট্যাম্প কত তারিখে কার নিকট বিক্রি করা হয়েছে তার প্রতিবেদন চেয়ে জেলা প্রশাসনের ট্রেজারি শাখায় চিঠি দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ট্রেজারি শাখা প্রতিবেদন দাখিল করে।

 

 

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, স্ট্যাম্প দুটি ২০০৭ সালের ২৮ আগস্ট ও ২০১০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ট্রেজারি শাখা থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে ২০০৭ সালের ৫ জানুয়ারি আয়েশা সিদ্দিকা ও আবু সাঈদ চৌধুরীর (সম্রাট) মধ্যে চুক্তি করার কোনো ভিত্তি নেই। রেকর্ডপত্রে দেখা যায়, আবু সাঈদ চৌধুরী (সম্রাট) চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার জম জম হ্যাচারি ফার্মটি দলিল মূলে এ কে এম ফেরদৌস হোসাইনের কাছ থেকে ক্রয় করেন। অনুসন্ধানকালে এ কে এম ফেরদৌস হোসাইনের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়। তিনি জানান, আনুমানিক ২০১০ বা ২০১১ সালে নগদ টাকার প্রয়োজন হলে তিনি ৮টি পুকুর বা ৫৯৩ শতক জমি বিক্রয়ের প্রস্তাব করলে মো. আবু সাঈদ চৌধুরী (সম্রাট) ক্রয়ের আগ্রহ প্রকাশ করেন। ২০১২ সালে বিভিন্ন তারিখে সাফ বিক্রি কবলা মূলে এ কে এম ফেরদৌস হোসাইন ৮টি পুকুর বা ৫ একর জমি আবু সাঈদ চৌধুরীর স্ত্রী সালমা সাঈদ চৌধুরীর নামে রেজিস্ট্রি দলিল করে দেন। এ কে এম ফেরদৌস হোসাইনের বক্তব্য অনুযায়ী ২০১২ সাল পর্যন্ত পটিয়ার চক্রশালার জম জম ফার্মস’র ৮টি পুকুর তার ভোগদখলে ছিল। সুতরাং আসামি আয়েশা সিদ্দিকার আয়কর নথিতে ২০০৮–২০০৯ করবর্ষ থেকে ২০১০–১১ করবর্ষে মৎস্য আয় বাবদ প্রদর্শিত ৯৯ লাখ ৮ হাজার ৪০০ টাকার আয় গ্রহণযোগ্য নয়। ব্যবসা আয় বাবদ ও মৎস্য চাষের আয় বাবদ তিনি মোট ১ কোটি ৪০ লাখ ৯৬ হাজার ১৯৫ টাকা আয়কর নথিতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীনভাবে প্রদর্শন করেছেন। যা গ্রহণযোগ্য নয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. সেলিম উল্যাহ তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়ে জানতেন। এভাবে আয়েশা সিদ্দিকা তার স্বামী আসামি মো. সলিম উল্যাহ ওরফে বাচ্চুর সহযোগিতায় এবং তার অসাধু উপায়ে অর্জিত অর্থ বৈধ করার অপচেষ্টায় প্রাথমিকভাবে আয়কর নথিতে এবং পরবর্তীতে দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তার নামে অর্জিত সম্পদের আয়ের উৎস হিসেবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন নানা ব্যবসা এবং মৎস্য চাষের ফিরিস্তি প্রদর্শন করেছেন। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে সবজির বাজার চড়া, কমেনি পেঁয়াজের ঝাঁঝ

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রামের বাজারগুলোতে ফের সবজরি দাম বেড়ে গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দর আবারও উর্ধমূখী। নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার ও কাজির দেউড়ি বাজার এবং বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকানে দর যাচাই করে এ চিত্র পাওয়া গেছে। এদিকে পেঁয়াজের দাম পাইকারিতে কমলেও খুচরায় এর প্রভাব পড়েনি। তবে মাছ-মাংসসহ অন্যান্য পণ্যের দাম অপরিবর্তিত আছে।বিক্রেতারা বলেছেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা সবজির দাম আড়ত পর্যায়ে বেশি হওয়ায় খুচরায় এর প্রভাব পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের শেষে দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে প্রতিকেজি মানভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় পৌঁছেছিল। কিন্তু গত দুইদিনে কেজিতে অন্তঃত ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমেছে। এরপরও খুচরায় প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারির হিসেবে পেঁয়াজের দর খুচরায় প্রতিকেজি ১০০ টাকার মধ্যে থাকার কথা ছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে বেশি দামে কেনা পেঁয়াজ মজুত রয়ে যাওয়ায় তাদের বাড়তি দামে বেচতে হচ্ছে।বাজারে দেশি রসুন ৮০ থেকে ১১০ টাকা, চায়না রসুন ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, চায়না আদা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, ভারতীয় আদা মান ভেদে ১৪০ থেকে ১৬০ দরে বিক্রি হয়েছে।

এদিকে শীতকালীন অধিকাংশ সবজি গত সপ্তাহে প্রতিকেজি ৬০ টাকার মধ্যে নেমে এসেছিল। কিন্তু বেশ কয়েকটি সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি দেখা গেছে। বাজারে টমেটো মানভেদে ৭০ থেকে ১০০ টাকা, নতুন শিম ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল, দেশি পটল, দেশি গাজর, দেশি শসা, ছোট করলা প্রতিকেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা, কচুর লতি, কচুরমুখী, লাউ, চালকুমড়া ৫০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব সবজির দাম গত সপ্তাহে ৫০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে ছিল।তবে ফুলকপি-বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, মূলা ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের মতোই আছে। শালগমের দাম কেজিতে ২০ টাকা কমে ৬০ টাকা হয়েছে। বগুড়ার নতুন আলুর দাম কেজিতে অন্তঃত ৪০ টাকা কমে প্রতিকেজি ৪০ টাকায় এবং

মুন্সীগঞ্জের পুরোনো আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা, বগুড়ার পুরনো আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকা, পেঁপে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।অন্যান্য সবজির মধ্যে কাঁচামরিচের দাম কমে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ধনেপাতা ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শীতকালীন লাল শাক-পালং শাকসহ অন্যান্য সব ধরনের শাক আঁটিপ্রতি ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সয়াবিন তেল ছাড়া অন্যান্য মুদিপণ্যের দামে তেমন হেরফের হয়নি। সরকারিভাবে নির্ধারিত প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেল ১৭২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এছাড়া ছোট মসুর ডাল ১৪০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ৯০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১২০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৪৫ টাকা, খেসারি ডাল ৯০ টাকা, বুটের ডাল ৬০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা, মাষকলাই ডাল ১২০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১১০ টাকা ও খোলা চিনি ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই কেজির প্যাকেট আটা ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১২০ টাকা, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৭২ টাকা, কৌটাজাত ঘি ১৪৫০ থেকে ১৫৫০ টাকা, খোলা ঘি ১২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মসলার মধ্যে এলাচ প্রতিকেজি ৪ হাজার ৭৫০ টাকা, দারুচিনি ৫০০ টাকা, লবঙ্গ ১২৮০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ১৩৫০ টাকা ও কালো গোলমরিচ ১১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।


চালের মধ্যে মোটা চাল ব্রি-২৮ ও স্বর্ণা প্রতিকেজি ৬৪-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা, মানভেদে প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল ৭৫ থেকে ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি লালতীর, এসিআই, স্কয়ার কোম্পানির প্যাকেট পোলাও চাল ১৫৫ টাকা, খোলা পোলাও চাল মানভেদে ৯০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বাজারভেদে ব্রয়লার মুরগি ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা, লেয়ার ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ থেকে ৫৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের মধ্যে দেড় কেজি ওজনের প্রতি পিস দেশি হাঁস ৫০০ টাকা, দুই কেজি ওজনের চীনা হাঁস প্রতি পিস ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গরুর মাংস প্রতিকেজি ৭৮০ থেকে ৯০০ টাকা, খাসির মাংস ১২০০ টাকা এবং ছাগল ১১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া প্রতি ডজন লাল ডিম ১২০ টাকা থেকে কমে ১১০ টাকা, সাদা ডিম ১২০ থেকে ১২৫ টাকা ও দেশি হাঁসের ডিম ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।মাছের মধ্যে লইট্যা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা, চিংড়ি (বাগদা ও গলদা) প্রকারভেদে ৭৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া খাল-নদী ও চাষের মাছের মধ্যে রুই ও কাতলা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, ছোট আকারের পাবদা ৪০০ টাকা, মাঝারি সাইজের ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, পুঁটি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, সরপুঁটি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া বড় সাইজের ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা,

নাইলোটিকা ২২০ থেকে ২৮০ টাকা, কৈ ২০০ থেকে ২২০ টাকা এবং পাঙাস ও সিলভার কার্প ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।বাজারে এখন ইলিশ আর তেমন নেই। তবে ৭-৮টি মিলে ওজনে এক কেজি হয় এমন কিছু ইলিশ এখনও সীমিত আকারে পাওয়া যাচ্ছে। সেগুলো কেজিপ্রতি ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।আহত ওসমান হাদীর সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন।


একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ, প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য গ্রহণ, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং হামলার পেছনে কোনো সংগঠিত পরিকল্পনা থাকলে তা উন্মোচনের জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ