আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক বিশেষ নির্দেশনা

প্রেস রিলিজ

চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় সম্মানিত নগরবাসীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, থার্টি ফার্স্ট নাইটে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ বদ্ধপরিকর। সকল অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন, গীর্জা, হোটেল, ক্লাব, বিনোদন কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন, টহল জোরদার, ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ ব্যবস্থা এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলার স্বার্থে সম্মানিত নাগরিকদের নিম্নলিখিত নিদের্শনাসমূহ অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো:

১. রাস্তা, ফ্লাইওভার, ভবনের ছাদ এবং প্রকাশ্য স্থানে কোন ধরনের জমায়েত/সমাবেশ/উৎসব না করা।

২. উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে কোন ধরনের অনুষ্ঠান, সমাবেশ বা নাচ-গান অথবা অন্যকোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান না করা।

৩. কোথাও কোন ধরনের আতশবাজি/পটকা না ফোটানো এবং ফানুস না উড়ানো।

৪. ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ০৬.০০ ঘটিকা থেকে পরদিন সকাল ১০.০০ ঘটিকা পর্যন্ত পতেঙ্গা সি-বিচ ও পারকি বিচ এলাকায় অবস্থান না করা।

৫. ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ০৬.০০ ঘটিকা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ০৬.০০ ঘটিকা পর্যন্ত লাইসেন্সকৃত সকল বার ও মদের দোকান বন্ধ রাখা।

৬. উচ্চস্বরে গাড়ির হর্ন না বাজানো  কিংবা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি বা মোটরবাইক না চালানো।

৭. আনন্দ উদযাপনের ক্ষেত্রে  আমাদের প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থা ও সংস্কৃতির প্রতি লক্ষ্য রেখে প্রত্যাশিত ও গ্রহণযোগ্য শালীনতা বজায় রাখা।

৮. মাদকদ্রব্য সেবন থেকে বিরত থাকতে থাকা। মাদকাসক্ত অবস্থায় কাউকে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৯. সকল অনুষ্ঠানে নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা এবং নারীদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা।

১০. নৈতিক মূল্যবোধ পরিপন্থী কর্মকান্ড হতে বিরত থাকা।

১১. অশোভন আচরণ এবং বে-আইনী কার্যকলাপ হতে বিরত থাকা।

১২. হোটেলে ডিজে পার্টির নামে কোন স্পেস বা কক্ষ ভাড়া না দেওয়া।

১৩. জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয় এমন যে কোনো ধরনের কর্মকান্ড পরিহার করা।

ট্রাফিক নির্দেশনা

উচ্চস্বরে হর্ন না বাজানোসহ বেপরোয়া গতিতে যানবাহন না চালানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।

এছাড়াও যে কোন গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ বা দুর্ঘটনা সংক্রান্ত তথ্য  তৎক্ষণাৎ সিএমপি-এর পুলিশ কন্ট্রোল রুম অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।

সিএমপি কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর:
০৩১-৬৩৯০২২, ০৩১-৬৩০৩৫২, ০৩১-৬৩০৩৭৫, ০১৬৭৬-১২৩৪৫৬, ০১৩২০-০৫৭৯৯৮

যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে সম্মানিত নাগরিকবৃন্দকে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের সাহায্য গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হলো। এবং কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের আইন প্রয়োগে সহযোগিতা করার জন্য সম্মানিত নাগরিকদের অনুরোধ করা হলো। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ইংরেজি নববর্ষ-২০২৪ উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে সম্মানিত নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বয়স্ক নারীর লাশ উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় হাত–পা বাঁধা অবস্থায় খাইরুন নেছা (৬০) নামের এক বয়স্ক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার রামচন্দ্রপুর মানিকের বাঁধ এলাকার পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত নারী হলেন ঐ এলাকার মৃত রজব আলীর মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, সকালেই মানিকের বাঁধের পাশে পানিতে ভেসে থাকা একটি লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তাঁরা পুলিশে খবর দিলে ভেড়ামারা থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তাঁকে হত্যা করে হাত–পা বেঁধে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে।

বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তদন্তে যা বের হবে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ