আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রাম নগরীর সল্টগোলা ক্রসিংয়ে চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ট্রাফিক কন্সটেবলের পিটুনিতে যাত্রী আহত

ডেস্ক নিউজ:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ট্রাফিক সার্জেন্ট ও কন্সটেবলদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় গাড়ীর কাগজপত্র তল্লাশীর নামে চাঁদাবাজি ও হয়রানির মতো অভিযোগ উঠে আসলেও এবার খোদ পাঠাও মোটর সাইকেলের চালককে গাড়ীর কাগজপত্র তল্লাশীর নামে চাঁদাবাজি ও হয়রানির করাকালীন সময়ে পাঠাও গাড়ীতে অবস্থানরত যাত্রী ঘটনার প্রতিবাদ জানালে এ সময় ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফা পাঠাও গাড়ীতে যাত্রীরত অবস্থায় চট্টগ্রামের অলংকার থেকে ইপিজেডগামী গার্মেন্টস্ সুপারভাইজার সাখাওয়াত হোসেন রবিন উক্ত দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফাকে কি কারণে গাড়ী তল্লাশী করা হলো পরবতীর্তে কেনইবা গাড়ীতে যাত্রী সাখাওয়াত হোসেন রবিনের কাছে ১ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হলো।

বিষয়টি নিয়ে ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফা ও গার্মেন্টস্ সুপারভাইজার রবিনের সাথে কথাকাটাকাটির এক পযার্য়ে বন্দর ডিসি ট্রাফিক বিভাগের সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফা আজ ৪ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখে বিকাল আনুমানিক ৪.৩০ মিনিটের সময় পাঠও মোটর সাইকেলে আরোহিত যাত্রী সাখাওয়াত হোসেন রবিনের উপর চড়াও হয়ে তাকে কিলঘুষি তাপ্পড় মেরে মুখে রক্তাক্ত করে তাকে মারাত্œক ভাবে জখম করে দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফা।

এ বিষয়ে আহত যাত্রী সাখাওয়াত হোসেন রবিন দৈনিক আজকালের দর্পণ ও জে বাংলা নিউজ ২৪.ডটকমকে বলেন; দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফা অযৌক্তিকভাবে আমার কাছে ১ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে আমাকে বলে আমি নাকি তার সাথে বেয়াদবী করেছি। আমি কিসের বেয়াদবী করলাম, রাস্তায় যানজট দেখে আমাদের গাড়ী ধীরগতিতে আসছিল তখন দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফা গাড়ী সিগনাল দিলে আমি গাড়ী বসা পাঠাও চালক গাড়ীটি তখন ঘটনাস্থলে দাঁড় করিয়ে ফেলে।

এক পযার্য়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফা গাড়ীটিকে কাগজপত্র ঠিক নেই বলে মিথ্যা অযৌক্তিক দাবী করে তল্লাশী করলে এ সময় গাড়ীর যাত্রী সাখাওয়াত হোসেন রবিন বলেন; ভাই আমার তাড়া আছে মেডিকেলে যেতে হবে দ্রুত— আমার তাড়া আছে, রাস্তায় প্রচুর জ্যাম পড়েছে আমাদের ছেড়ে দিন। এ কথা বলার পর দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফা তখন বলেন বেশী তাড়া যখন আছে তখন ১ হাজর টাকা দে; ছেড়ে দিব।

তখন যাত্রী সাখাওয়াত হোসেন কেন আপনাকে ১ হাজার টাকা দেব জানতে চাইলে, চোখ রাঙিয়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফা গাড়ীতে বসা ইপিজেডের গার্মেন্টস্ সুপারভাইজার সাখাওয়াত হোসেন রবিনের মুখের উপর কিলঘুষি তাপ্পড় মেরে তাকে মারাত্নক ভাবে রক্তাক্ত করে জখম করে। পরবতীর্তে আহত গার্মেন্টস্ যাত্রী সাখাওয়াত হোসেন রবিন ঘটনাস্থল থেকে চলে এসে মায়ের চিকিৎসা না করে নিজের চিকিৎসা নিয়েই ব্যস্ত থাকেন।

এ বিষয়ে সাখাওয়াত হোসেন রবিন অভিযোগ করে আরো বলেন; আমি বিষয়টি ডিসি ট্রাফিক সিএমপি পুলিশ কমিশনারসহ ট্রাফিক বিভাগে উচ্চ পদস্থ কর্মকতার্দের কাছে এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চেয়ে অভিযুক্ত দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফা আইনানুগ শাস্তি কামনা করছি।

এদিকে, অভিজ্ঞ মহলের ধারণা প্রায় সময় প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফাসহ বেশ কয়েকজন ট্রাফিক পুলিশের কাগজপত্র তল্লাশীর নামে যাত্রী হয়রানির গুরুত্বর অভিযোগ উঠে আসলেও এর কোন সুরাহা ভুক্তভোগী জনগণ পাচ্ছে না।

ট্রাফিক পুলিশের এহেন হয়রানির কারণে সড়কে যানজট ও মারাত্নক সড়ক দূর্ঘটনা প্রধান কারণ বলে দাবী করেছেন অভিজ্ঞ মহল। অতি দ্রুত ট্রাফিক পুলিশের যাত্রী হয়রানি ও তল্লাশির নামে চাঁদাবাজির বন্ধের জোর দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সচেতন মহল।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।আহত ওসমান হাদীর সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন।


একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ, প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য গ্রহণ, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং হামলার পেছনে কোনো সংগঠিত পরিকল্পনা থাকলে তা উন্মোচনের জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।

চাকুরী স্থায়ী হচ্ছেনা চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মচারীদের, কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

দীর্ঘদিন কাজ করার পরও চাকুরী স্থায়ী না করে নতুন করে জনবল নিয়োগের উদ্যোগে কাফনের কাপড় পরে চট্টগ্রাম ওয়াসার সামনে বিক্ষোভ করেছেন দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরত কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম ওয়াসার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন তারা।
আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) শারমিন আলমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, মামলা থাকার পরও ওয়াসায় দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরতদের স্থায়ী না করে উল্টো নতুন করে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন কাজ করার পরও তাদের স্থায়ী না করে নতুন করে জনবল নিয়োগের উদ্যোগ পরিকল্পিত। এসময় তারা অনতিবিলম্বে স্থায়ী নিয়োগের দাবি জানান।

তারা আরও বলেন, ওয়াসার ক্রান্তিকালে আমাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমাদের বৈধতা দেওয়ার পরে অন্যদের নিয়োগ দিতে হবে। মামলা চলমান থাকার পরও কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে বিজ্ঞপ্তি ছাড়ে। হাইকোর্টকে অমান্য করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রতিবাদে আমরা এখানে মিলিত হয়েছি। বিগত বছরগুলোতেও আমরা বৈষম্যের শিকার ছিলাম এখনও বৈষম্যের শিকার। চট্টগ্রাম ওয়াসায় বিভিন্ন পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরত আছেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ