আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রাম নগরীর সল্টগোলা ক্রসিংয়ে চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ট্রাফিক কন্সটেবলের পিটুনিতে যাত্রী আহত

ডেস্ক নিউজ:

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ট্রাফিক সার্জেন্ট ও কন্সটেবলদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় গাড়ীর কাগজপত্র তল্লাশীর নামে চাঁদাবাজি ও হয়রানির মতো অভিযোগ উঠে আসলেও এবার খোদ পাঠাও মোটর সাইকেলের চালককে গাড়ীর কাগজপত্র তল্লাশীর নামে চাঁদাবাজি ও হয়রানির করাকালীন সময়ে পাঠাও গাড়ীতে অবস্থানরত যাত্রী ঘটনার প্রতিবাদ জানালে এ সময় ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফা পাঠাও গাড়ীতে যাত্রীরত অবস্থায় চট্টগ্রামের অলংকার থেকে ইপিজেডগামী গার্মেন্টস্ সুপারভাইজার সাখাওয়াত হোসেন রবিন উক্ত দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফাকে কি কারণে গাড়ী তল্লাশী করা হলো পরবতীর্তে কেনইবা গাড়ীতে যাত্রী সাখাওয়াত হোসেন রবিনের কাছে ১ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হলো।

বিষয়টি নিয়ে ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফা ও গার্মেন্টস্ সুপারভাইজার রবিনের সাথে কথাকাটাকাটির এক পযার্য়ে বন্দর ডিসি ট্রাফিক বিভাগের সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফা আজ ৪ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখে বিকাল আনুমানিক ৪.৩০ মিনিটের সময় পাঠও মোটর সাইকেলে আরোহিত যাত্রী সাখাওয়াত হোসেন রবিনের উপর চড়াও হয়ে তাকে কিলঘুষি তাপ্পড় মেরে মুখে রক্তাক্ত করে তাকে মারাত্œক ভাবে জখম করে দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফা।

এ বিষয়ে আহত যাত্রী সাখাওয়াত হোসেন রবিন দৈনিক আজকালের দর্পণ ও জে বাংলা নিউজ ২৪.ডটকমকে বলেন; দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফা অযৌক্তিকভাবে আমার কাছে ১ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে আমাকে বলে আমি নাকি তার সাথে বেয়াদবী করেছি। আমি কিসের বেয়াদবী করলাম, রাস্তায় যানজট দেখে আমাদের গাড়ী ধীরগতিতে আসছিল তখন দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফা গাড়ী সিগনাল দিলে আমি গাড়ী বসা পাঠাও চালক গাড়ীটি তখন ঘটনাস্থলে দাঁড় করিয়ে ফেলে।

এক পযার্য়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফা গাড়ীটিকে কাগজপত্র ঠিক নেই বলে মিথ্যা অযৌক্তিক দাবী করে তল্লাশী করলে এ সময় গাড়ীর যাত্রী সাখাওয়াত হোসেন রবিন বলেন; ভাই আমার তাড়া আছে মেডিকেলে যেতে হবে দ্রুত— আমার তাড়া আছে, রাস্তায় প্রচুর জ্যাম পড়েছে আমাদের ছেড়ে দিন। এ কথা বলার পর দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফা তখন বলেন বেশী তাড়া যখন আছে তখন ১ হাজর টাকা দে; ছেড়ে দিব।

তখন যাত্রী সাখাওয়াত হোসেন কেন আপনাকে ১ হাজার টাকা দেব জানতে চাইলে, চোখ রাঙিয়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফা গাড়ীতে বসা ইপিজেডের গার্মেন্টস্ সুপারভাইজার সাখাওয়াত হোসেন রবিনের মুখের উপর কিলঘুষি তাপ্পড় মেরে তাকে মারাত্নক ভাবে রক্তাক্ত করে জখম করে। পরবতীর্তে আহত গার্মেন্টস্ যাত্রী সাখাওয়াত হোসেন রবিন ঘটনাস্থল থেকে চলে এসে মায়ের চিকিৎসা না করে নিজের চিকিৎসা নিয়েই ব্যস্ত থাকেন।

এ বিষয়ে সাখাওয়াত হোসেন রবিন অভিযোগ করে আরো বলেন; আমি বিষয়টি ডিসি ট্রাফিক সিএমপি পুলিশ কমিশনারসহ ট্রাফিক বিভাগে উচ্চ পদস্থ কর্মকতার্দের কাছে এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চেয়ে অভিযুক্ত দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফা আইনানুগ শাস্তি কামনা করছি।

এদিকে, অভিজ্ঞ মহলের ধারণা প্রায় সময় প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফাসহ বেশ কয়েকজন ট্রাফিক পুলিশের কাগজপত্র তল্লাশীর নামে যাত্রী হয়রানির গুরুত্বর অভিযোগ উঠে আসলেও এর কোন সুরাহা ভুক্তভোগী জনগণ পাচ্ছে না।

ট্রাফিক পুলিশের এহেন হয়রানির কারণে সড়কে যানজট ও মারাত্নক সড়ক দূর্ঘটনা প্রধান কারণ বলে দাবী করেছেন অভিজ্ঞ মহল। অতি দ্রুত ট্রাফিক পুলিশের যাত্রী হয়রানি ও তল্লাশির নামে চাঁদাবাজির বন্ধের জোর দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সচেতন মহল।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় গভীর রাতে স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমণিষা বাজারে বুধবার গভীর রাতে একদল দুর্ধর্ষ ডাকাত দল চার-পাঁচ টি স্বর্ণের দোকানে ও একটি বাড়িতে ডাকাতি করে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অষ্টমণিষা বাজারের শ্রী রতন কুমার কর্মকার, তপন কুমার কর্মকার, উত্তম কুমার কর্মকার, ইউসুফ আলী ও আত্তাব আলীর স্বর্ণের দোকানগুলোর তালা ভেঙে দুর্বৃত্ত ডাকাত দল প্রায় ৩০/৩২ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়। পরে ডাকাত দল রতন কুমার কর্মকারের বাড়ির ভিতর প্রবেশ করে তার স্ত্রী ও ছেলে রঞ্জন কর্মকার কে মারধর করে আরও ১০ ভরি স্বর্ণ ও ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাত দল।

শ্রী রঞ্জন কুমার কর্মকার বলেন,একটি ডাকাত দল বাজারে নেমে দুই নৈশপ্রহরীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রথমেই বেঁধে ফেলেন।রতন কর্মকার বলেন, ‘ডাকাতেরা বাড়িতে ঢুকতেই আমি তিন তলায় উঠে প্রতিবেশীদের ফোন করি। কিন্তু কেউ আসেনি। পরে দীপকে ফোন করলেও বের হতে পারেনি, কারণ তার দরজার সামনে দুইজন অস্ত্রধারী দাঁড়িয়ে ছিল।’

তারপর প্রায় ১০-১২ জনের একটি ডাকাত দল প্রথমে স্বর্ণের দোকানগুলোতে হামলা চালায় এবং কিছুক্ষণ পরে তারা তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে সবাইকে অস্ত্রের মুখে স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা সব লুট করে। তার মা স্বর্ণের গহনা খুলে দিতে দেরি করলে তাকে অনেক মারধর করে। রঞ্জন কর্মকার বাধা দিলে তাকেও বেদম প্রহার করা হয়। দুর্ধর্ষ ডাকাত দলের হাতে দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র সহ সাপল,লোহার রড ছিলো বলে তারা জানান।

স্থানীয়রা আরও জানান,দুর্ধর্ষ ডাকাত দল স্পিডবোট যোগে গভীর রাতে বাজারে এসে স্বর্ণের দোকানগুলোতে ডাকাতি করে গুমানী নদীর ভাটির দিকে চলে যায়।

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (চাটমোহর,ভাঙ্গুড়া সার্কেল) আবু বকর সিদ্দিক, পাবনা ডিবির ওসি রাশিদুল ইসলাম, ডিবির একটি টিম এবং ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কারা জড়িত, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মামলা প্রক্রিয়াধীন।’

পাবনা ডিবি পুলিশের ওসি রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘এটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের কাজ। খুব শিগগিরই ডাকাত চক্রকে গ্রেপ্তার করা হবে।’অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলছে। তদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে।’

চট্টগ্রামে কাস্টমস কর্মকর্তাদের গাড়িতে হামলার সময় ‘গুলি কর, গুলি কর’ শব্দ

P চট্টগ্রাম মহানগরের কাস্টমসের দুই কর্মকর্তার উপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ডবলমুরিংয় থানাধীন সিডিএ আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কে চৌধুরী সুপারশপের সামনে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা হঠাৎ প্রাইভেটকার থামিয়ে চাপাতি দিয়ে গাড়ির গ্লাস ভাঙে এবং ‘গুলি কর, গুলি কর’ চিৎকার করে প্রাণনাশের ভয় দেখায়।হামলার শিকার হলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান খান ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) বদরুল আরেফিন।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে হামলার শিকার রাজস্ব কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, অফিস যাওয়ার পথে হঠাৎ বিপরীত দিক থেকে একটি মোটরসাইকেলে তিনজন এসে আমাদের গাড়ির গতিরোধ করে। তারপর তারা চাপাতি দিয়ে গাড়ির গ্লাস ভেঙে ফেলে। এসময় একজন আরেকজনকে বলতে থাকেন, ‘গুলি কর, গুলি কর’। পরে প্রাণ বাঁচাতে গাড়ি থেকে নেমে দৌড়াতে থাকি। তিনি আরও বলেন, হামলাকারীদের তিনজনের মধ্যে দুজন হেলমেট পরিহিত ছিল, আকেরজন হেলমেট পরেনি। হামলার পর তারা মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

রাজস্ব কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, গত অক্টোবরে তার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে হুমকি দেয়া হয়। পরে বন্দর থানায় নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল। এর একমাস পরেই এই হামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের পশ্চিম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। ফুটেজ পর্যালোচনা করে হামলাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। একটি মোটরসাইকেলে তিনজন এসে হামলা চালিয়েছে। প্রাথমিক ধারণা, এটি পূর্ব শত্রুতার জেরে ভয়ভীতি দেখানোর উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। যদিও হামলার সময় ‘গুলি কর, গুলি কর’ চিৎকার করা হয়েছিল, কোনো গুলি করা হয়নি। আমরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। এই ঘটনায় এখনও মামলা দায়ের হয়নি; কাস্টমস কর্মকর্তারা চাইলে মামলা করতে পারেন, নতুবা পুলিশ মামলার প্রক্রিয়া শুরু করবে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার এইচ এম কবির বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। আমাদের দুজন কর্মকর্তা কাস্টমস গোয়েন্দা অফিস থেকে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে যাওয়ার পথে তাদের উপর হামলা হয়েছে। তাদের গাড়ির গ্লাস ভেঙে ফেলা হয়েছে। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। এ ধরনের হামলা আমাদের জন্য শঙ্কার বিষয়। আমরা আশা করি রাষ্ট্র আমাদের নিরাপত্তা দিবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ