
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ও কবি হোসাইন কবির বলেছেন, পড়ালেখার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চা জরুরি। সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের মাঝে নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটবে। সুস্থ ও স্ন্দুরভাবে বেঁচে থাকতে হলে সঙ্গীত চর্চার কোন বিকল্প নেই। আজ ৯ মার্চ শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর থিয়েটার ইনিস্টিউটের গ্যালারী হলে আনন্দী সঙ্গীত একাডেমির ১৩-তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপল¶ে সঙ্গীতানুষ্ঠান ও গুণীজন সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আনন্দী সঙ্গীত একাডেমির সভাপতি শিল্পী বিশুতোষ তালুকদারের সভাপতিত্বে ও শিল্পী প্রণিতা দেব চৈতীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সঙ্গীত ভবনের অধ্য¶ খ্যাতিমান শিল্পী বিদূষী কাবেরী সেন গুপ্তা। সূচনা বক্তব্য রাখেন একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক তবলা শিল্পী সুরজিৎ সেন। অনুষ্ঠানে সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের জন্য প্রবীন গিটার শিল্পী ডাঃ বাবুল সেন গুপ্ত ও শিল্পী শ্যামল মিত্রকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে নবীন ও প্রবীন ১২জন শিল্পী সংগীত পরিবেশন করেন। এরা হলেন-সুভাষ দাশ, মাধবী চৌধুরী, রতন কান্তি ধর, অনিমেষ বড়–য়া, সুস্মিতা সাহা, প্রিয়াসা বিশ্বাস জুঁই, ¯^পন কান্তি দত্ত, দোলন কান্তি দাশ, অনিন্দিতা দত্ত, সৃজিতা দে সৃজা, প্রাংগন ধর ও প্রিয়াসা চৌধুরী। যন্ত্রানুসঙ্গে এসরাজঃ শিল্পী মদন মোহন ঘোষ, তবলায় শিল্পী সুরজিৎ সেন, আদৃত চৌধুরী, প্রান্ত দাশ, কী-বোর্ড শিল্পী তমাল চক্রবর্তী রুবেল ও প্যাডে শিল্পী এস.এম রুবাইয়েত। সুরের আবেশে হল ভর্তি দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন শিল্পীরা।
আনন্দী সঙ্গীত একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক তবলা শিল্পী সুরজিৎ সেন তার বক্তব্যে বলেন, ¶ণজন্মা সঙ্গীতের মহাপুরুষ ও সঙ্গীতগুরুরা সমাজ সংস্কারক। আপনি যদি সঙ্গীত শুরু করেন তাহলে সদগুরুর সান্নিধ্যে আপনাদের সন্তানদেরকে যেতেই হবে। অন্যথায় আপনার-আমার সন্তানদের জীবন টলমল হবে। এখন আন্দাজে গান-বাজনা হয় না। সময় থাকতে সন্তানদের আলোর পথ দেখান। ###