আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে আমন চারা তৈরির ধুম

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে আমন ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে আমনের জমি বীজতলা তৈরির জন্য এখনই উপযুক্ত সময় ।পাশাপাশি আউশধান রোপন করছেন অনেকেই। কৃষকরা জানান, সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় আউশধান কম চাষ করা হয়েছে। তবে আমনধান ব্যাপক আকারে চাষ করার জন্য তাঁরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আউশধান রোপন প্রায় শেষ পর্যায় চলে আসছে, এ জন্য আমন ধানের বীজতলা তৈরি করছেন তারা। আষাঢ়

মাসে টানা বৃষ্টিতে বীজতলা তৈরির উপযুক্ত সময়। রবিবার (৭ জুলাই) সকালে পৌরসভাসহ উপজেলার সারোয়াতলী, করলডেঙ্গা, আমুচিয়া, শ্রীপুর খরনদ্বীপ, শাকপুরা এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, চলতি আমন মৌসুমের বীজতলা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। একদিকে চলছে উচু জমিতে বীজতলা তৈরির কাজ। অন্যদিকে চারা রোপণের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে অন্যান্য জমি। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, বোয়ালখালীতে এবার আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে আমন ধান আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে পৌরসভাসহ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আতিক উল্লাহ বলেন, আউশধান রোপনের পাশাপাশি কৃষকেরা আমনধানের বীজতলা তৈরি করছেন।আষাঢ় মাসে আমন ধানের বীজতলা তৈরির সময়। পানিতে ডুবে না এমন উঁচু খোলামেলা জমিতে বীজতলা তৈরি করতে হবে। জলাবদ্ধতার কারণে রোপা আমনের বীজতলা করার মতো জায়গা না থাকলে ভাসমান বীজতলা করে চারা উৎপাদন করা যায়। আশপাশের জমির থেকে একটু উঁচু জমি আমন ধানের বীজতলার জন্য আদর্শ। এ বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করতে উপ–সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে রয়েছেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ঠাকুরগাঁওয়ে জিংক ধানের সম্প্রসারণে অগ্রণী কৃষক প্রশিক্ষণ ও বীজ বিতরণ

ঠাকুরগাঁও জেলায় আন্তর্জাতিক খাদ্যনীতি গবেষণা ইনস্টিটিউট (IFPRI) হারভেস্ট প্লাস প্রোগ্রামের রিঅ্যাক্টস- ইন প্রকল্পের আয়োজনে জিংক ধানের সম্প্রসারণে অগ্রণী কৃষক প্রশিক্ষণ ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ওয়ার্ল্ড ভিশন ও ইএসডিওর যৌথ পরিচালনায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের হরিহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অগ্রণী কৃষক প্রশিক্ষণ ও বীজ বিতরণ প্রোগ্রামটি অনুষ্ঠিত হয়।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ নাসিরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার কৃষিবিদ মোঃ ওয়াহিদুল আমিন তপু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ম্যানেজার কৃষিবিদ মোঃ মজিবর রহমান।

এছাড়াও বক্তব্য দেন, রহিমানপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, মারুফা খাতুন, প্রজেক্ট অফিসার, ওয়ার্ল্ড ভিশন, ইএসডিও রিএক্টস-ইন প্রজেক্ট এর প্রজেক্ট ফোকাল কৃষিবিদ মোঃ আশরাফুল আলম, প্রজেক্ট অফিসার মোঃ আবু তালহা শিশির ও অন্যান্য কর্মকর্তা সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।

মানব দেহে জিংকের উপকারিতা, অভাবজনিত লক্ষণ ও জিংকের ঘাটতি মেটানোর উপায়সহ জিংক সমৃদ্ধ ধান ও গমের বিভিন্ন জাত, তাদের উৎপাদন প্রযুক্তি বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা আলোচনায় স্বতস্ফুর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং জিংক ধান ও গম কে মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছাতে তাঁরা এর উৎপাদন ও এই বিষয়ে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাবেন মর্মে দৃঢ়তা প্রকাশ করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২৩৭ জন চাষীকে ৪ কেজি করে মোট ৮৪৮ কেজি ব্রি ধান ১০২ জাতের ভিত্তি ধান বীজ বিতরণ করা হয়।

রিএক্টস-ইন প্রকল্পটি কানাডা সরকারের অর্থায়নে, ওয়ার্ল্ড ভিশন, হারভেস্টপ্লাস, নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল এবং ম্যাক গিল বিশ্ববিদ্যালয় কনসোর্টিয়াম এর মাধ্যমে অন্যান্য তিনটি দেশের মতো বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই প্রকল্পের হারভেস্টপ্লাসের কার্যক্রম গুলি ইএসডিও এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
হারভেস্টপ্লাস ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ বায়োফোর্টিফাইড খাদ্যশস্যেও বিকাশ ও প্রচার করে এবং বায়োফরটিফিকেশন প্রমাণ এবং প্রযুক্তিতে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব প্রদান করে পুষ্টি এবং জনস্বার্থেও উন্নতি করে। হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশে জিংক ধান, জিংক গম এবং জিংক ও আয়রন মসুর এর সম্প্রসারণ এবং অভিযোজনে কাজ করছে। বর্তমানে বাংলাদেশে আমন মৌসুমে ব্রি ধান ৭২ ও বিনা ধান ২০ এবং বোরো মৌসুমে ব্রি ধান ৭৪, ৮৪, ১০০ ও ১০২ ধানের ব্যাপক চাষাবাদ হচ্ছে।

ভিন্ন চাষে স্বপ্ন দেখেন, সফল এক কৃষক অভিজিত কুমার দে।

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা–কদমতলী ইউনিয়নের পূর্ব কদমতলী গ্রামের বাসিন্দা অভিজিত কুমার দে। সবার কাছে পরিচিত তিনি অনিরুদ্ধ অপু নামে। পেশায় একজন সফল সাংবাদিক। তার শখের পেশা ও গবেষণা হচ্ছে কৃষি বিপ্লব। কৃষিই তার প্রযুক্তি ও সফলতা ধরে রাখতে নিরলজ কাজ করা তাঁর নেশা।
দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে কৃষির সঙ্গে জড়িয়ে আছেন তিনি। প্রচলিত চাষের ধারার বদলে নতুন কিছু করার আগ্রহই তাকে আজ এই অঞ্চলের অন্যতম সফল চাষীতে পরিণত করেছে।

বিভিন্ন প্রকল্পে অংশ নিয়ে উচ্চমূল্যের ও মৌসুমি ফসলের ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতাই তাকে অনুপ্রাণিত করেছে রূপান্তরিত কৃষিকাজে ঝুকিতে।
তিনি আরো বলেন, ইতিপূর্বের ট্রেনিং গুলো তাকে অনুপ্রানীত করেছে। নতুন ভাবে তার চোখকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। তিনি তার দেখা অনেক কিছু আবিস্কার করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু এই নতুন জাত সফলভাবে চাষাবাদ করে এবং এলাকায় সাধারন কৃষকদের মন জয় করে নতুন দিগন্তের সুচনা করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। তার এই প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল জেলায়, উপজেলায়, গ্রামে গ্রামে, প্রত্যেক বা প্রতিটি অঞ্চলের প্রতিটি গঞ্জে গঞ্জে পৌছাতে হবে। যাতে করে সকল কৃষক এই পদ্ধতিতে চাষ করে তার পদ্বতি অনুসরণ করে সফলতা পান এঠাই তার পথ নিদ্দর্শক।

গতানুগতিক চাষাবাদ বাদ দিয়েছি অনেক আগে। বর্তমানে তিনি ৫০ শতক জমিতে কৃষিকাজ করছেন। ৫০ শতাংশ জমি চাষ করর এবার তার উৎপাদন হয়েছে ৪৫ মণ ধান। যা প্রচলিত চাষের তুলনায় দ্বিগুন বা অসাধারন ফলন।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে তিনি ধীরে ধীরে সবজি, উন্নত জাত এবং নতুন প্রযুক্তির চাষ শুরু করেন। ধাপে ধাপে আসতে থাকে তার সবজি চাষে অনেক সাফল্য, বাড়তে থাকে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস।

২০২৪ সালে মাত্র ৪ শতক জমিতে পরীক্ষা মূলকভাবে তিনি নতুন একটি ধানের জাত চাষ করেন। ফলন আশানুরূপ হওয়ায় ২০২৫ সালে তিনি আবার আমন মৌসুমেও রোপণ করেন সেই জাতটি। কিন্তু দেখা গেল এবারও তার ফলন আরও গত বারের চেয়ে আরও বেশি হয়।

সাংবাদিক ও কৃষক অভিজিত কুমার দে অপু আরো বলেন,“সঠিক ট্রেনিং, পরিশ্রম আর নিষ্ঠা থাকলে যে কোনো কৃষি কাজেই সফলতা আসবেই। যদি একবার সফল হও, পরবর্তীতে আর পেছনে তাকাতে হবেন।

বর্তমানে তার নতুন ধানের জাতের নমুনাটি উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে জাত নিণর্য়ের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে গবেষণার জন্য। তবে এই নতুন ধানটির নাম “লোকমান’ রাখার দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক অভিজিত কুমার দে তথা অনিরুদ্ধ অপু।

চন্দ্রঘোনা কৃষি ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নুরুল হামিদ অভিজিত কুমার দে সম্পর্কে বলেন,“অভিজিত কুমার দে তথা সাংবাদিক অনিরুদ্ধ অপু, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার একটি অনন্য উদাহরণ।
তিনি নিয়মিত কৃষি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে নিয়মিত পরামর্শ নেন। তিনি বিভিন্ন সময় নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করেন নিজ থেকে এবং নিজের জমিতে সাহসীভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান।
তার চাষাবাদ করা নতুন ধানের জাত যদি ব্রি অনুমোদন পায়, এটা হবে রাঙ্গুনিয়ার কৃষিতে বড় অর্জন।

সাংবাদিক অপু বা অভিজিত কুমার দে অপু আরো বলেন, অভিজিত কুমার দে এর মতো কৃষকরা অন্যদেরও উদ্বুদ্ধ করছেন। তার কাজ দেখে অনেকেই নতুন জাত ও আধুনিক চাষাবাদে আগ্রহী হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস বলেন, অভিজিত কুমার দে তথা সাংবাদিক অনিরুদ্ধ অপুর নতুন জাতের ধান নিয়ে আরো বেশি গবেষণা, আরো বেশি ট্রায়াল করা দরকার আছে। তবে তার মধ্যে যেই আধুনিক চাষাবাদের নতুন নতুন চিন্তা গুলো কাজে লাগালে আগামীতে কৃষির সফলতা অবশ্যই আসবেই। এই প্রসঙ্গে অভিজিত কুমার দে অপু বলেন, একসময় নিজে নিজের স্বপ্ন দেখতাম। আর এখন অন্যদের স্বপ্ন দেখাতে ভালো লাগছে। আমার সাফল্য দেখে এখন অনেকে আমাকে অনুসরণ করছে এবং নতুনভাবে চাষাবাদ শুরু করেছেন, এটা আমার কাছে বড় প্রাপ্তি।

আধুনিক প্রযুক্তি, সাহসী পরীক্ষা–নিরীক্ষা এবং অক্লান্ত পরিশ্রম—এই তিন শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে একজন সাধারণ কৃষক আজ হয়ে উঠেছেন পুরো অঞ্চলের অনুপ্রেরণা।
আর এটাই প্রমান করে দিয়েছেন একমাত্র সাংবাদিক ও সফল কৃষক অভিজিত কুমার দে প্রকাশ অনিরুদ্ধ অপু। তিনি আরো বলেন, নতুন চিন্তা আর নিষ্ঠা থাকলে কৃষিই পারে এক জীবনের গল্প বদলে দিতে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ