আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বাত্মক অবরোধে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে সড়কে যানবাহন ছিলনা তেমন। গণপরিবহণ ও ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল একেবারে কম

কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউন

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউন বা সর্বাত্মক অবরোধে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে সড়কে যানবাহন ছিলনা তেমন। গণপরিবহণ ও ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল একেবারে কম দেখা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে যানবাহন চলাচল কম দেখা গেছে। তবে বেলা গড়াতে যানবাহনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কেও যানবাহন তুলনামূলকভাবে কম দেখা গেছে। নগরী থেকে দূরপাল্লার যানবাহন কম ছাড়ছে বলে জানা গেছে। এদিকে চট্টগ্রাম নগরীতে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠ সকাল থেকেই নগরীতে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। মহাসড়কে বিজিবি সদস্যরা সাঁজোয়া যানে করে টহল দিচ্ছেন বলে বিজিবির ব্যাটালিয়ন-৮ চট্টগ্রামের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী জানিয়েছেন।
এদিকে দোকান-পাট খোলা ছিল। সরকারি-বেসরকারি অফিস যথানিয়মে চালু ছিল। চালু ছিল কল-কারখানা। চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য ওঠানামা এবং পণ্যবাহী পরিবহনের আসা-যাওয়া স্বাভাবিক আছে। সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মিরসরাই থেকে সীতাকুণ্ড হয়ে নগরীতে পৌঁছান চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন। তিনি লন, মহাসড়কে আমি কোথাও পিকেটিং দেখিনি। কোথাও অবরোধকারীদের দেখাও পাইনি। চট্টগ্রাম অংশে মহাসড়ক স্বাভাবিক আছে। যানবাহন চলছে। আমার কাছে গাড়ি কম মনে হয়নি।কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ির সংযোগ সড়ক-মহাসড়ক স্বাভাবিক আছে জানিয়ে তিনি বলেন, হাটহাজারীর বিষয়ে আমরা অ্যালার্ট আছি। সেখান থেকে এ পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। যানবাহন চলছে। কক্সবাজার মহাসড়কেও আমাদের অংশে কোনো সমস্যা নেই।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, সারাদেশে যে চলমান পরিস্থিতি তার প্রভাব চট্টগ্রাম বন্দরে পড়েনি। সব কাজ স্বাভাবিকভাবে চলছে। পণ্য উঠানো-নামানোর কাজও স্বাভাবিক। তিন হাজার টিইইউস কনটেইনারের শুল্কায়ন সমাপ্তের নথি জমা পড়েছে। সেগুলো ডেলিভারি দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা ও ‘খুনের প্রতিবাদে’ এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সারাদেশে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। এ সংক্রান্ত বার্তায় বলা হয়, শাটডাউন চলাকালে শুধুমাত্র হাসপাতাল ও জরুরি সেবা ব্যতীত কোন প্রতিষ্ঠানের দরজা খুলবে না, অ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত সড়কে কোন গাড়ি চলবে না। সারাদেশের প্রতিটি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
তবে নগরী এবং জেলার কোথাও এ পর্যন্ত কোটা আন্দোলনকারীদের বড় কোনো জমায়েত বা পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র সকালে নগরীর শাহ আমানত সেতু এলাকায় প্রায় তিনশ’র মতো লোক জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে। বিশ মিনিট পর পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, সকালে একদফা অবরোধের চেষ্টা ছাড়া নগরীতে আর কোথাও কোনো ঘটনা ঘটেনি। কোথাও অবরোধ আহ্বানকারীদের কোনো জমায়েতও আমরা দেখিনি। তাকে সকল পয়েন্টে আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। যদি কোনো বিশেষ পরিস্থিতি কেউ সৃষ্টির চেষ্টা করে, তাহলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
[18/07, 18:06] Bishhajit: চট্টগ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় চার
মামলায় আসামী প্রায় ৭ হাজার
চট্টগ্রাম: কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ ও অস্ত্রবাজির ঘটনায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বুধবার পাঁচলাইশ থানায় ৩টি ও খুলশী থানায় ১টি মামলা করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে তাণ্ডব চালানো হয়েছিল। এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা প্রায় ৭ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত এসব মামলায় ১৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, ২ নম্বর গেইট এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় এমইএস কলেজের শিক্ষার্থী শাহেদ আলী বাদী হয়ে ৫০০-৬০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে খুলশী থানায় মামলা করেছেন। খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নেয়ামত উল্লাহ বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ফুটেজ দেখে আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ চাকমা জানান, থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলার বাদী হয়েছে পুলিশ। এ দুটি মামলায় প্রতিটিতে অজ্ঞাতনামা ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার জনকে আসামি করা হয়। আরেকটি মামলা করেন মুরাদপুরে কোটা আন্দোলনকারীদের মারধরে আহত ইমন ধরের মা সুমি ধর। ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আজ (গতকাল) বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ১৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত থেকে গত বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ৮৮ জনকে এবং বুধবার থেকে ভোর ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ৬২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের বর্ণাঢ্য আয়োজন।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবমূখর পরিবেশে আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানের কর্মসূচীতে রয়েছে-১৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কাট্টলীস্থ’ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে (ডিসি পার্কের দক্ষিণ পার্শ্বে) ৩১ বার তোপধ্বনি ও পুস্পস্তবক অর্পণ, সকল সরকারী-বেসরকারী, আধা-সরকারী ও বেসরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে মহান বিজয় দিবসের শুভ উদ্বোধন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদেও সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন।

ঐদিন সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গনে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্মানে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য মহান বিজয় দিবস ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন।

বিশেষ অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আহসান হাবীব পলাশ ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন। বেলা ১২টায় সিনেমা হলসমূহে বিনা টিকেটে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চল”িচত্র প্রদর্শনী, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মিলনায়তনে বা উন্মুক্ত ¯’ানে ব¯‘ুনিষ্ট ও নৈর্ব্যত্তিক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চল”িচত্র প্রদর্শনী। এছাড়া বিজয় দিবসের দিন সুবিধাজনক সময়ে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদেও বিদেহী আত্মার মাগফেরাত,

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বা¯’্য, জাতির শান্তি-সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোড়া ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত/প্রার্থনা, জেলা পর্যায়ে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া অনুষ্ঠান, টি-২০ ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট, প্রদর্শনী ফুটবল ম্যাচ, কাবাডি, হা-ডু-ডু ইত্যাদি খেলার আয়োজন। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে সুবিধাজনক সময়ে শিশুদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দুপুর দেড়টায় হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, ডে-কেয়ার, শিশু বিকাশ কেন্দ্র, শিশু পরিবার, পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী কর‌্যাণ কেন্দ্র, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র ও ভবঘুরে পুনর্বাসন কেন্দ্রসমূহে প্রীতিভোজের আয়োজন।

দিনব্যাপী শিশু পার্ক, ডিসি পার্ক, জাদুঘর ও চিড়িয়াখানা শিশুদের জন্য সকাল-সন্ধ্যা উন্মুক্ত রাখা ও বিনা টিকেটে প্রদর্শনীর ব্যবস্থাকরণ, পর্যটন কেন্দ্রে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং ডিশ ক্যাবল অপারেটর/ মালিকগণ কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচিত্র প্রদর্শন। ১৫-১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান/ স্থাপনায় আলোকসজ্জাকরণ এবং মহান বিজয় দিবসের পরদিন ১৭ ডিসেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ‘চট্টগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও সর্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ