আজঃ মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

স্মরণ : মুক্ত বেলায়তের দীপ্তিয়মান সূর্য, হযরত মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ শাহজাহান চৌধুরী মাইজভাণ্ডারী

লেখক: ডা. তছলিম উদ্দীন কর্মপরিকল্পনা সম্পাদক, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজ লেকচারার, এনাটমি বিভাগ।

জন্ম ও বংশ পরিচয়: মাইজভান্ডারী দরবার শরীফের আধ্যাত্মিক শরাফতের প্রতিষ্ঠাতা গাউছুল আজম হযরত মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (ক.)-এর নাতি অছিয়ে গাউছুল আজম খাদেমুল ফোকরা মাওলানা সৈয়দ দেলওর হোসাইন মাইজভান্ডারী (ক.)-এর বড় শাহজাদী মহীয়সী রমণী সৈয়দা মুবাশ্বেরা বেগম মাইজভান্ডারী (ক.) ও আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মজিদ চৌধুরী মাইজভান্ডারীর (ক.) পবিত্র ওরশে ১৯৫০ সালে ১৩৬৯ হিজরী ১৩৫৬ বাংলা ১৪ই মাঘ ২৮ জানুয়ারী জন্ম গ্রহণ করেন।

বিদ্যার্জন: বাবাজান শাহনগর স্থানীয় স্কুলে ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখার পর নানুপুর সোবহানিয়া স্কুল হতে এসএসসি পাশ করে পরবর্তীতে চট্টগ্রাম সিটি কলেজে ভর্তি হন।

কর্মজীবন: ১৯৭০ সালে বাড়বকুন্ডে অবস্থিত ডিডিটি ইন্ডাষ্ট্রিতে অফিসার পদে নিয়োজিত ছিলেন।
আধ্যাত্মিক জীবনের দীক্ষা: চাকুরিরত অবস্থায় বিবর চিত্তে নিজ বাড়িতে সহকর্মীদের সহযোগিতায় বাবাজানের কাছে চলে আসেন। বাবাজানের আপন মামা হযরত মাওলানা শাহসুফি শাহান শাহ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী বাবাজানের মুর্শিদ। তিনি বাবাজানকে পরম স্নেহে বুকে জড়িয়ে, কোলে তুলে বাবাজানকে আধ্যাত্মিক সাধনায় নিয়োজিত রাখেন। বাবাজান প্রায় সময় রাত্রে পাহাড়ে আধ্যাত্মিক সাধনায় নিয়োজিত থাকতেন। নিজ গৃহে প্রায় সময় উপবাস থাকতেন। নিজ রুমে একা থাকতেন।

কিছুদিনের মধ্যে বাবাজানের কামালিয়তের কথা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ঐশী প্রেম পিপাসু সাধক ও দোয়া প্রত্যাশী ফরিয়াদিদের ভিড়ে এই সাধকের পবিত্র বাসগৃহ বিশ্ব মানবতার কল্যাণধারক এক উচ্চমার্গীয় আধ্যাত্মিক দরবারে পরিণত হয়। গাউছুল আজম শাহান শাহ ফানাফিল্লাহ বাকাবিল্লাহ হযরত মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ মুহাম্মদ শাহাজাহান চৌধুরী (ক.)-এর কিছু উল্লেখযোগ্য কামালিয়ত নিম্নে বর্ণনা করা হলো।

(১) ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে বাঁশখালী আসনের বিএনপি থেকে সংসদ প্রার্থী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বাবাজান কেবলার কাছে মেহেরবানীর প্রত্যাশায় চট্টগ্রাম শহর লালখান বাজার হাই লেভেল রোড গাউছিয়া শাহাজান মঞ্জিল দরবার শরীফে আসেন। বাবাজান দয়া করে বললেন, আপনি যান নির্বাচন করলে পাশ করবেন। বিজয় লাভের কয়েকদিনের মধ্যে বাবাজানের কাছে তিনি আসেন। প্রকাশ করেন কৃতজ্ঞতাটুকু এবং বাবাজানকে বাসায় আমন্ত্রণ করেন। পরবর্তীতে এমপি সাহেবের বাসায় গাড়িতে করে পৌঁছান। তখন বাবাজান বলেন, আমি বসেছি মন্ত্রীর গাড়িতে বাসায় খাওয়া কবুল করে

বাবাজান এবার এমপি সাহেবকে ঢাকায় চলে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন। তার পরের দিন এমপি সাহেব চলে গেলেন ঢাকায় এবং সরাসরি উঠেন খালেদা জিয়ার বাসভবনে। দেখা গেল তখন মন্ত্রিপরিষদ গঠন প্রক্রিয়া চলছিল। এমপি জাফরুল ইসলামকে দেখে খালেদা জিয়া বললেন, বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া যায়। মন্ত্রিপরিষদের সকলের সঙ্গে এমপি জাফরুল ইসলাম চৌধুরীও প্রতিমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করলেন।

(২) জৈনক মহিলা লালখান বাজার বাবাজানের বাসায় বাবাজানকে আর্জি পেশ করলেন, ডাক্তার বলেছেন মহিলার পেটে টিউমার আছে। বাবাজান কালাম করলেন, ঐটা বাচ্চা, টিউমার নয়। মহিলা বললেন, আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে টিউমার আছে বলেছেন। বাবাজান আবারো বললেন, ঐটা বাচ্চা, টিউমার নয়। তখন কিছুদিন পর ঐ মহিলা একটি বাচ্চা জন্ম দিলেন।
(৩) হাজী মুহাম্মদ নুরুল আলম সাহেব বাবাজানের কাছে আর্জি পেশ করলেন, আমার হাঁটুতে টিউমার হয়েছে। বাবাজান হাঁটুর টিউমারটিতে হাত মোবারক বুলিয়ে দিলেন। বললেন ভালো হয়ে যাবে। পরবর্তীতে উনি সুস্থ হয়ে গেলেন।

(৪) এক দম্পতি বাবাজানের কাছে আর্জি পেশ করলেন, একটি নেক সন্তানের জন্য বাবাজান যেন তাদের ঔষধ দেয় বাচ্চা হওয়ার জন্য। পরবর্তীতে তাদের একটি পুত্রসন্তান জন্ম লাভ করেন।
(৫) এক ডাক্তার বাবাজানের কাছে এসে ডাক্তারি পেশার উন্নতির জন্য দোয়া চান। বাবাজান কালাম করলেন, তোমাকে প্রফেসর বানিয়ে দিলাম। তিনি বর্তমানে প্রফেসর হিসাবে কর্মরত আছেন।
(৬) ঘটনাটি ২০০১ সালে ২৪ মার্চের সময়। বাবাজান নিজ গ্রামের বাড়ি হতে বাবুনগর ট্যাক্সি দিয়ে রওনা হলেন। বাবাজানের সফরসঙ্গী ছিলেন মুহাম্মদ

মনিরুজ্জামান ও হান্নান। পথিমধ্যে লেলাং খালের স্লুইস গেটের কাছে আসলে ট্যাক্সি বন্ধ হয়ে যায়। চালক অনেক চেষ্টার পর বললেন, তেল শেষ হয়ে গেছে, গাড়ি চলবে না। আমরা পেট্রোল আনতে গাড়ি থেকে নামবো এই সময় বাবাজান দোয়া করে বললেন, লেলাং খাল থেকে পানি ঢুকাও, চালক ইতস্তত করলো। আমরা বললাম, বাবাজান যা বলেছেন তাই করো। চালক খাল হতে তেলের ট্যাংকিতে পানি ঢুকালেন। এইবার বাবাজানের নির্দেশে স্টার্ট-এ চাপ দেওয়ার সাথে সাথে গাড়ি চালু হয়ে যায়। পানি দিয়ে গাড়ি চালানোর এই অলৌকিক ঘটনা মুহূর্তে ছড়িয়ে পরে চতুর্দিকে।

আজও ফরিয়াদিরা উনার মাজারে এসে আপন হাজত মকসুদ পূরণের জন্য নজর-মানতসহ আল্লাহর দরবারে মিনতি করেন। তাদের চাহিদাও পূর্ণ হচ্ছে নিয়মিতভাবে। হযরত দেলাওর হোসেন মাইজভান্ডারী (ক.) কালাম কামেলের মাজার জান সর্ব দুঃখ হারী প্রেমিকের অন্তরে ঢালে শান্তি সুধা বারি।

পরবর্তী রূহানী উত্তরাধিকার নির্ধারণ: বাবাজানের ওফাতের পূর্বে আপন দুই শাহজাদা হযরত মাওলানা মুহাম্মদ ইসকান্দার মির্জা মুকুট (ম.জি.আ) ও হযরত মাওলানা সাকান্দার মির্জা মহান (ম.জি.আ)-কে স্বীয় গদী শরীফের উত্তরাধিকারী হিসাবে নির্ধারণ করে যান।
ওফাত ও ওরশ: গাউছুল আজম শাহান শাহ হযরত মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ শাহাজাহান চৌধুরী (ক.) ৭৩

বছর বয়সে ২০২৩ সালে ২৪ জানুয়ারি, বাংলা ১৪৩০, ১০ই মাঘ, দিবাগত রাত ৩টার সময় ইহধাম ত্যাগ করেন। প্রতিবছর ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪ই মাঘ উনার ওফাত ও খোশরোজ শরীফ শাহনগর সন্ন্যাসীর হাট গাউছিয়া শাহাজাহান মঞ্জিলে মহাসমারহে অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশ বিদেশের লক্ষ লক্ষ আশেক ভক্তের সমাগম ঘটে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

এনায়েতপুর ব্রজধাম স্মৃতি সংসদের ৩১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত।

হাটহাজারী থানার এনায়েতপুর ব্রজধাম স্মৃতি সংসদের ৩১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রায় একশত প্রতিযোগি অংশ গ্রহন করেন। অনুষ্ঠান সংসদের সভাপতি বিধান বনিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রজধাম স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শুভাশীষ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রজধাম রমণী মোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পম্পা বসু, ব্রজধাম স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক পংকজ মিত্র উজ্জ্বল, পুতুল দে, তাপস দে, সুমিত্র সেন রাজু, বিকাশ চৌধুরী, বিকাশ বণিক, তুষার দে, সুকান্ত ভৌমিক। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, এই সংসদ শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি অনুভব, একটি স্মৃতি, এবং আমাদের সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। যখন এই সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়েছিল, তখন কিছু স্বপ্নবান মানুষ এই বিশ্বাসে এগিয়ে এসেছিলেন যে, ব্রজধামের স্মৃতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হবে, নতুন প্রজন্মের মাঝে তা ছড়িয়ে দিতে হবে।

আজ আমরা গর্বের সাথে বলতে পারি, ব্রজধাম স্মৃতি সংসদ তার সেই আদর্শ ও লক্ষ্য থেকে এক চুলও সরে আসেনি। নাটক, সংগীত, আবৃত্তি, লোকজ সংস্কৃতি সবকিছুতেই আমাদের সংসদ অসাধারণ ভূমিকা রেখে চলেছে। এই পথচলা সহজ ছিল না, তবে সদস্যদের নিষ্ঠা, ভালোবাসা ও একাগ্রতার ফলে আজ আমরা এই অবস্থানে পৌঁছেছি। আমরা চাই, আগামী দিনগুলোতে আমাদের এই সাংস্কৃতিক পরিবার আরও বিস্তৃত হোক, আরও প্রাণবন্ত হোক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তুষার সেন, কাজল দে, নিলয় দে, মুন্না চৌধুরী, প্রণাম দে, সুকান্ত ভৌমিক, অন্তু পাল, নিশু পাল, অন্তু সেন, প্রান্ত চৌধুরী, শান্ত চৌধুরী, অন্তু চৌধুরী, লিংকন দে, মুগ্ধ দাশ, সিপ্ত দে, বাবু দে, অর্নব বনিক, প্রশান্ত মজুমদার, বিজন শীল, অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন বেতার ও টেলিভিশন শিল্পী তুর্না দে তৃষা, তৃষা চৌধুরী, রিমু চৌধুরী, শান্তনা দে, স্বীকৃতি বনিক, দিয়া দে, শ্রেয়া মজুমদার প্রমূখ।

যেখানে উম্মাহর দেহে যন্ত্রণা, সেখানে ফিলিস্তিন এক রক্তাক্ত হৃৎপিণ্ড।

“মুমিনগণ এক দেহের মতো—যদি দেহের এক অঙ্গ ব্যথিত হয়, গোটা শরীর তার ব্যথায় কাঁপে।” — (হাদীস, সহীহ মুসলিম।ফিলিস্তিন—পৃথিবীর মানচিত্রে ক্ষুদ্র এক ভূখণ্ড। অথচ ইতিহাসের সবচেয়ে ভারী অশ্রুগুচ্ছে নাম লিখিয়ে রেখেছে বহু শতাব্দী ধরে। গাজার ধূলোমলিন বাতাসে আজ আর বালুকণার ঘ্রাণ নেই, সেখানে শুধু বারুদের গন্ধ। আকাশে প্রজাপতির বদলে ড্রোন, শিশুর খেলনার স্থানে রকেটের ধ্বংসাবশেষ। ফিলিস্তিন আজ একটি জাতির নয়, বরং গোটা উম্মাহর হৃদয়ে গেঁথে থাকা এক দীর্ঘতর আর্তনাদ।

প্রতিদিন সূর্য ওঠে, কিন্তু গাজার মানুষ দেখে না আলো—দেখে ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া স্বজনের হাত। প্রতিটি ভোর যেন এক নতুন শোকাবহ অধ্যায়। ঘুম ভাঙে বোমার শব্দে, আবার ঘুম পাড়ায় কান্নার চাপে। মৃত শিশুদের জন্য কাঁদে পৃথিবীর বিবেক, আর মুসলিম উম্মাহর মাঝে জন্ম নেয় এক প্রশ্ন—আমরা কী এখনো এক দেহ, নাকি শুধুই নামের উম্মাহ?

রাসূল (সা.) বলেছেন, “তোমরা যদি এক দেহের মতো না হও, তবে তোমাদের ঈমান অপূর্ণ।” কিন্তু আজ ফিলিস্তিন যখন পুড়ে যায়, আমরা দাঁড়িয়ে থাকি কেবল নীরব প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে। বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো তাদের নিজস্ব স্বার্থের পাল্লায় ফিলিস্তিনকে মাপে। আর মুসলিম রাষ্ট্রগুলো—তারা হয়তো সম্মেলন ডাকে, বিবৃতি দেয়, দোয়া করে। কিন্তু ফিলিস্তিনের শিশুরা কি তাতে বাঁচে?

আমরা কি ফিলিস্তিনিদের জন্য শুধু আহারে ব্যস্ত, নাকি অন্তরে তাদের বেদনা বয়ে চলেছি? যদি তারা আমাদের ভাই হয়, তবে কেন আমাদের প্রতিবাদ এত মৃদু? কেন আমাদের জবান এত জড়তা পূর্ণ, কেন আমাদের হৃদয় এত নির্লিপ্ত?

এই কলাম কোনো সাময়িক রাজনীতি বা সংবাদ বিশ্লেষণ নয়—এ এক অভ্যন্তরীণ আত্মপ্রকাশ। এক লেখকের নয়, এক মুসলিমের হাহাকার। ফিলিস্তিনকে আজ দয়ায় নয়, দায়িত্বে দেখতে হবে। এই ভূমি আমাদের কেবল দুঃখ দেয় না—এ আমাদের ঈমানের আয়না। সেখানে দেখা যায়, আমরা কতটা মুসলিম, কতটা মানুষ।

গাজা যখন পোড়ে, তখন মক্কার বাতাসও কাঁদে।
জেরুজালেম যখন কাঁদে, তখন মদিনার মসজিদও শিউরে ওঠে।
কিন্তু আমরা কি কান পেতে শুনি সেই কান্না?

‘এক উম্মাহ, এক দেহ’—এই পবিত্র বাণী যেন আর কেবল হাদীসের পাতায় না থাকে।
এই বাণী হোক হৃদয়ের স্পন্দন। যেন ফিলিস্তিনের কান্না আমাদের রাতের ঘুম কেড়ে নেয়,
জেগে তোলে আমাদের বিশ্বাস, উদ্দীপনা, প্রতিবাদ—আর সর্বোপরি, ভালোবাসা।

কারণ ফিলিস্তিন এখন শুধু নির্যাতনের নাম নয়, এ এক রক্তাক্ত হৃৎপিণ্ড, যা উম্মাহর বুকে প্রতিনিয়ত ধুকপুক করে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ