
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে এক তরুণী (১৯) দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে টাকা দাবি করায় মঙ্গলবার ৪ মার্চ ২০২৫ ইং তারিখ রাতে টঙ্গীর মরকুন মাষ্টারপাড়া এলাকা থেকে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- টঙ্গী পূর্ব থানার মরকুন মাস্টারপাড়া এলাকার মৃত হাজ্বী কেরামত আলীর ছেলে মোঃ মাসুম (৩৬) ও নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার নীলক্ষা গ্রামের হারিজ মিয়ার ছেলে সজিব মিয়া (২৫)। ঘটনায় জড়িত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয় নগর থানার কচুয়ামুড়া গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে আবু বক্কর(২৬) নামে অপর এক অভিযুক্ত পলাতক রয়েছেন।
মামলা সুত্রে জানা যায়, নির্যাতিতা ঐ তরুণী টঙ্গী মরকুন মাস্টারপাড়া এলাকায় আকিজ বেকার্স লিমিটেড নামক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ঐ তরুণী তার সহকর্মীকে নিয়ে কারখানায় কাজে যোগ দিতে বাসা থেকে বের হন। এ সময় ঐ তিন যুবক তাদের গতিরোধ করে তরুণীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ির নির্জন কক্ষে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় অভিযুক্তরা তাদের মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারন করে রাখে।

এরপর নির্যাতিতা ঐ নারীর ধর্ষণের ধারনকৃত ভিডিও দেখিয়ে দশ হাজার টাকা দাবি করে ছেড়ে দেয়। ঘটনার একদিন পর গত শুক্রবার রাতে টঙ্গী পূর্ব থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী তরুণী, মামলা নং ৪৪ তারিখ ২৮/০২/২০২৫ ইং।
ঘটনার পর নির্যাতিতা ঐ তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পুলিশ গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। দায়েরকৃত মামলায় অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
টঙ্গী পূর্ব থানার চৌকস পুলিশ অফিসার এস আই উৎপল কুমার (পিপিএম) বলেন, ভুক্তভোগী তরুণী অভিযুক্ত দুই জনের নাম জানতেন একজনের নাম জানতেন না। দুইজনের নাম উল্লেখ করে এবং একজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত মাসুমকে গ্রেফতার করি। মাসুমকে জিজ্ঞাসাবাদের তার নিকটে থাকা মোবাইলে দলবদ্ধ ধর্ষণের ধারণ করা ভিডিও পাওয়া যায়। তখন সে সব কিছু স্বীকার। পরে মাসুমের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সজিবকে গ্রেফতার করি। বুধবার ৫ ই মার্চ দুপুরে দুই আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করি। আদালত আসামীদের ১৬৪ ধারায় জবান বন্দী রেকর্ড করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফরিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর একজনকে গ্রেফতারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলমান রয়েছে।