আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে জরাজীর্ণ জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘরে কমেছে দর্শনার্থী, সংস্কার জরুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম মহানগরীর আগ্রাবাদে জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘরটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। বিগত ৬০ বছরেও এই জাদুঘরে ছোঁয়া লাগেনি উন্নয়নের।এশিয়া মহাদেশে দুটি জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘরের মধ্যে এই একটি জাদুঘরে একের পর এক দর্শনাথী কমে গেছে। খসে পড়ছে জাদুঘর ভবনটির দেয়ালের পলেস্তারা। জাদুঘরে একটি গ্রন্থাগার থাকলেও তার অবস্থা আরও নাজুক।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জাদুঘর ভবনটির অবস্থাও অত্যন্ত জরাজীর্ণ। বৃষ্টিতে ছাদ চুইয়ে, দেয়াল বেয়ে গ্যালারিতে পানি পড়ে বললেন দায়িত্বরত এক কর্মী। গ্যালারিগুলো ধুলাবালিতে অপরিচ্ছন্ন। দেখে মনে হয় দীর্ঘদিন পরিষ্কার করা হয়নি কক্ষগুলোর গ্যালারিসহ প্রদর্শিত উপকরণ। কোন কোন আলোকচিত্র ছিঁড়ে পড়েছে গ্যালারির ভিতরে। অযত্ন-অবহেলায় বিবর্ণ হয়ে পড়েছে জাদুঘরে সংরক্ষিত সাংস্কৃতিক নিদর্শনগুলো।

তাছাড়া, জাদুঘরে জায়গা স্বল্পতার কারণে সংগৃহীত অধিকাংশ নিদর্শন গ্যালারিতে প্রদর্শন করা সম্ভব হয়নি। যার কারণে, প্রায় তিন হাজার নিদর্শন গ্রন্থাগারের পাশের স্টোরে রাখা হয়েছে । কিন্তু সেখানেও যথেষ্ট অবহেলার ছাপ দেখা গেছে। ধুলাবালি জমে নষ্ট হওয়ার পথে এসব নিদর্শন। সরেজমিনে পরিদর্শনকালে অল্প সংখ্যক দর্শনার্থীকে দেখাগেছে। সংশ্লিষ্টরা জানায়, রোববার ছাড়া সপ্তাহের ৬দিনই খোলা থাকে জাদুঘরটি। কিন্তু উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দর্শনার্থী আসে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছকে এক দর্শনার্থী বলেন, এই ডিজিটাল যুগে এসেও জাদুঘরের আধুনিকায়ন নেই।

পর্যাপ্ত লাইট, ফ্যান বা আলো-বাতাস নেই। নেই আসবাবপত্রে নতুনত্ব।তবে প্রায় ৬০ বছর আগে স্থাপিত ঐতিহাসিক এ জাদুঘরটি পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের অধিকাংশ মানুষের কাছে আজও অজানা পড়ে আছে। ছোঁয়া লাগেনি আধুনিকতার। সংশ্লিষ্টদের অবহেলা ও অব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিষ্ঠানটির এখন অত্যন্ত বেহাল অবস্থা।

জাদুঘরের উপ-পরিচালক মো. আমিরুজ্জামান জাদুঘরের মূল ভবনের জরাজীর্ণ অবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের অভাবেই কোন কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া লোকবলেরও সংকট রয়েছে। ফিল্ড অফিসারের পদ শূন্য থাকায় বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে উপকরণ বা নিদর্শন সংগ্রহের কাজ করা যাচ্ছে না। সহকারী পরিচালকের পদও শূন্য। কুমিল্লা আঞ্চলিক অফিস থেকে মেরামত-সংস্কারের কাজ করা হয়। টিকেট বিক্রির টাকাগুলোও রাজস্ব তহবিলে জমা দিতে হয়। ফলে জরুরি মেরামত কাজের জন্যও আঞ্চলিক অফিসের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়।

পর্যবেক্ষকমহল বলছেন, কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিলে জাদুঘরটি দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ সাধারণ মানুষের কাছে আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত করা সম্ভব। অবশ্য সংশ্লিষ্টরা বেহাল দশার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের অভাব ও লোকবল সংকটকে দুষছেন। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর জীবনযাপন, সাংস্কৃতিক আচার, ঐতিহ্যের নমুনা সংরক্ষণের উদ্দেশ্যেই এই জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। ১৯৬৫ সালে নির্মিত জাদুঘরটি ১৯৭৪ সালে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত হয়। বর্তমানে জাদুঘরটিতে বাংলাদেশের ২৩টি জাতিগোষ্ঠীর পাশাপাশি পাকিস্তানের কয়েকটি জাতিগোষ্ঠীর নিদর্শন রয়েছে। বাঙালি জাতিসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীর জীবনযাপন, সাংস্কৃতিক আচার, পোশাক, অলংকারের নিদর্শন রয়েছে এতে। আলোকচিত্র, মডেল, নমুনার মাধ্যমে

জাতিগোষ্ঠীগুলোর নিজস্বতা তুলে ধরা হয়েছে। জাদুঘরের কর্মকর্তারা জানান, ভারতের কয়েকটি জাতিগোষ্ঠী, জার্মানির বার্লিন প্রাচীরের টুকরো, কিরগিজস্তান, অস্ট্রেলিয়া জাতিগোষ্ঠীর কিছু নিদর্শনও রয়েছে। এক দশমিক ৩৭ একর ভূমির ওপর প্রতিষ্ঠিত জাদুঘরটিতে মোট ১১টি কক্ষ রয়েছে। এক নম্বর গ্যালারির প্রথম কক্ষে রয়েছে বাঙালি জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি, জীবনযাপনের বিভিন্ন চিত্র ও নমুনা। দ্বিতীয় কক্ষে উপস্থাপন করা আছে পাকিস্তানের পাঠান, পাঞ্জাবসহ চারটি জাতির পোশাক, হস্তশিল্প, অস্ত্র, বাদ্যযন্ত্রের নমুনা। জাদুঘরের কেন্দ্রীয় গ্যালারিতে রয়েছে বিভিন্ন জাতির ব্যবহৃত অলংকারের নিদর্শন।
বাকি কক্ষগুলোতে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষদ্র নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীকে তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ৩ হাজার ২০০ এর মতো নিদর্শন আছে জাদুঘরটিতে। তবে, সরকারি গেজেটে তালিকাভুক্ত প্রায় অর্ধেক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কোনো প্রতিনিধিত্ব এখানে নেই। চারটি গ্যালারিসহ ১১টি কক্ষ বিশিষ্ট জাদুঘরের প্রদর্শনীগুলো পার্বত্য চট্টগ্রামের ১২টিসহ দেশের ২৬টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবনধারা ও সংস্কৃতি তুলে ধরে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলো হলো: চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, চাক, তংচঙ্গ্যা, মুরং, খুমি, গারো, বম, পাংখোয়া, লুসাই, খিয়াং, মনিপুরী, খাসিয়া, ওরাওঁ, হাজং, মান্দাই, ডলু, হোদি, বোনা, পোলিয়া, কোচ, রাজবংশী, সাঁওতাল, মুন্ডা ও হো।

জানা গেছে, তিন পার্বত্য জেলায় প্রায় ১২টি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী জাতিসত্তার বসবাস। অথচ জাতি তাত্ত্বিক জাদুঘরের সাথে পার্বত্যাঞ্চলের মানুষও পরিচিত নয়। খাগড়াছড়ির ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক জীতেন চাকমা বলেন, একই মন্ত্রণালয়ের হলেও জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘরের সাথে তাদের তেমন কোন যোগাযোগ নেই। অথচ প্রতিষ্ঠান দুটির সমন্বয় বা সম্পর্ক থাকলে জাদুঘর অনেক সমৃদ্ধ হতো।

বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা সুরেশ মোহন ত্রিপুরা বলেন, প্রতিষ্ঠানটি মানুষের কাছে পরিচিত করে তুলতে প্রচার প্রচারণার প্রয়োজন। এছাড়া জাদুঘরটিতে যেসব নিদর্শন রয়েছে বছরের পর বছর ধরে একইভাবে প্রদর্শন করা হচ্ছে।
এদিকে, জাদুঘরে পার্বত্য চট্টগ্রামের মং বা মান রাজ পরিবারের কোন তথ্য বা উপকরণ না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মং রাজ পরিবারের সদস্য খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য কুমার সুইচিং প্রু। তিনি বলেন, মং রাজ পরিবারের কিছুই সংগ্রহে রাখা হয়নি জাদুঘরে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৪ সালে জাদুঘরটির প্রদর্শনী উন্নয়ন, সংগ্রহ বৃদ্ধি ও আধুনিকায়ন নামে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের ব্যয় বরাদ্দ ছিল ৩ কোটি ২১ লাখ টাকা। ঐ প্রকল্পের আওতায় একটি টিকিট কাউন্টার ও একটি স্যুভেনির শপ (দোকান) নির্মাণ করা হয়। জাদুঘরের ছাদ সংস্কার, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা সংযোজন ও একটি বড় জেনারেটর কেনা হয়। এ ছাড়া একটি দোতলা অফিস ভবন ও ডরমিটরি নির্মাণ করা হয়। সূত্র জানায়, মূল ভবনের বড় ধরনের কোন মেরামত কাজ হয়নি। অথচ ভবনটির মেরামত অত্যন্ত জরুরি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন নবাগত পুলিশ সুপার মো:আবু তারেক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন ও থানায় কর্মরত অফিসারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আবু তারেক। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও কর্মরত সবাই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ফোর্সদের থাকার ব্যারাক ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চলতি মাসের ৬ তারিখে এ থানায় যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ