আজঃ মঙ্গলবার ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

এক বছরে বিএসসি’র আয় ৭৯৮.২৮ কোটি টাকা, ব্যয় হয় ৪১৬.২৭ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ৪৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা চট্টগ্রামের বোট ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার উক্ত বার্ষিক সাধারণ সভায় নৌপরিবহন সভাপতি ছিলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও বিএসসি পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। এছাড়াও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.নূরুন্নাহার চৌধুরীসহ বিএসসি পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ এবং শেয়ারহোল্ডারগণ উপস্থিত ছিলেন।

৪৮তম বার্ষিক সাধারণ সভায় বিএসসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মাহমুদুল মালেক সম্মানিত শেয়ারহোল্ডার ও উপস্থিত সুধীবৃন্দ উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের সামগ্রিক কর্মকান্ডের একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। প্রতিবেদন অনুসারে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে বিএসসি’র পরিচালনা আয় ছিল ৫৯০.৯৮ কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে আয় হয়েছে প্রায় ২০৭.৩০ কোটি টাকা। সর্বমোট আয় হয়েছে প্রায় ৭৯৮.২৮ কোটি টাকা।

অন্যদিকে পরিচালনা ব্যয় ছিল ২৮৯.৯২ কোটি টাকা এবং প্রশাসনিক ও আর্থিক খাতে ব্যয় ছিল ১২৬.৪৫ কোটি অর্থাৎ সর্বমোট ব্যয় হয় ৪১৬.২৭ কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে কর সমন্বয়ের পর সংস্থার নীট মুনাফা হয়েছে ৩০৬.৫৬ কোটি টাকা। যা বিগত ৫৪ বছরে সর্বোচ্চ। এরপর তিনি গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের সাথে তুলনা করেন এবং বলেন গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বিএসসি’র মোট আয় হয়েছিল ৫৯৬.১৮ কোটি টাকা ও মোট ব্যয় হয়েছিল ৩১১.৫৯ কোটি টাকা এবং কর সমন্বয়ের পর নীট মুনাফা হয়েছিল ২৪৯.৬৯ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থ বছর থেকে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে বিএসসির নীট আয় বেড়েছে প্রায় ৫৬.৮৭ কোটি টাকা।
বিএসসি পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারগণকে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের নীট লাভ হতে ২৫% (পঁচিশ) হারে নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ট) প্রদানের সুপারিশ করা হয়েছে মর্মে অবহিত করেন।

প্রতিবেদনে, বিএসসি নিজস্ব অর্থায়নে জাহাজ ক্রয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বিধায় ২০২৪- ২৫ অর্থ বছরে গত বছরের সমপরিমান লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করা হয়েছে। বিএসসির লাভের ধারা অব্যাহত থাকলে আগামীতে আরো বেশি লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করা হবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে নিরীক্ষিত হিসাব অনুযায়ী বিএসসির মোট সম্পদের পরিমাণ ৩,৫৮২.৯২ কোটি টাকা এবং মোট বহি: দেনার পরিমাণ ১,৯৮৩.৭৭ কোটি টাকা।

এছাড়া বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের শোর এষ্টাব্লিশমেন্টে (অফিসে) অনুমোদিত জনবল ১৫২১ জন (কর্মকর্তা ২১৭ জন ও কর্মচারী ১৩০৪ জন)। ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে কর্পোরেশনের শোর এষ্টাব্লিশমেন্টে (অফিসে) কর্মরত কর্মকর্তার সংখ্যা ছিল ৬৮ জন এবং কর্মচারীর সংখ্যা ১৫৭ জন অর্থাৎ সর্বমোট ২২৫ জন। এছাড়া এফ্লোট এষ্টাব্লিশমেন্টে (জাহাজে) কর্মরত অফিসারের সংখ্যা ছিল ৭৩ জন ও নাবিক ৭৪ জন অর্থাৎ সর্বমোট ১৪৭ জন।

উন্নয়ন প্রকল্প ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সুযোগ্য দিক নির্দেশনা ও সরকারের সক্রিয় সহযোগিতায় সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বিএসসি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা, এসডিজি এবং ব্লু-ইকোনমির ধারণা বাস্তবায়নসহ বিএসসিকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও আন্তর্জাতিক শিপিং সংস্থা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদে বিএসসি’র বহরে বাণিজ্যিক জাহাজ সংযোজন ও আনুষঙ্গিক বিভিন্ন প্রকল্প/কার্যক্রম পরিচালনা ও বাস্তবায়ন করার প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে।

উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে চীন সরকারের ঋণ সহায়তায় গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৬(ছয়)টি নতুন জাহাজ (প্রতিটি প্রায় ৩৯,০০০ ডিডব্লিউটি সম্পন্ন ৩টি নতুন প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার ও ৩টি নতুন বাল্ক ক্যারিয়ার) ক্রয় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে যার মধ্যে বর্তমানে ০৫টি জাহাজ বিএসসির বহরে আছে। উক্ত জাহাজসমূহ বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিকভাবে নিয়োজিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন কর্তৃক প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে ‘০২(দুই)টি প্রতিটি ৫৫,০০০-৬৬,০০০ ডিডব্লিউটি সম্পন্ন বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ অর্জন’ শীর্ষক প্রকল্পটি গত ০৩ জুন ২০২৫ তারিখে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত হয়। উক্ত প্রকল্পের আওতায় জাহাজ অর্জন/ক্রয়ের প্রস্তাব সম্পর্কিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সুপারিশ গত ১৭ আগষ্ট প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক সদয় অনুমোদিত হয়। উক্ত অনুমোদনের আলোকে গত ২১ সেপ্টেম্বর বিএসসি ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে জাহাজ সরবরাহ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। চুক্তি মোতাবেক ১ম জাহাজটি (এম.ভি. বাংলার প্রগতি) ইতোমধ্যে বিএসসি বরাবর সরবরাহ করা হয়েছে এবং বাণিজ্যে নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া, ২য় জাহাজ এম.ভি. বাংলার নবযাত্রা জানুয়ারি ২০২৬-এ বিএসসি বরাবর সরবরাহ করার সময়সূচী নির্ধারিত রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা সদয় নির্দেশনা মোতাবেক বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন সরকারি অর্থায়নে (ঋণ গ্রহণ) বিদ্যমান বিধি-বিধান অনুসরণ করে ২ (দুই) টি তৈরি ট্যাংকার জাহাজ এবং নিজস্ব অর্থায়নে ১টি তৈরি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ ক্রয়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সে লক্ষ্যে, বিএসসি পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের আওতাধীন সম্ভাব্যতা সমীক্ষা যাচাই সম্পন্ন করা হয়েছে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) নৌপরিবহন
মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।

দেশে আমদানিতব্য ক্রুড অয়েল বিএসসির নিজস্ব জাহাজের মাধ্যমে পরিবহনের জন্য ও দেশের জ্বালানী নিরাপত্তার স্বার্থে কয়লাসহ বিভিন্ন পণ্য যেমন: খাদ্যশস্য, সিমেন্ট ক্লিংকার, ক্লে এবং বাল্ক কার্গো ইত্যাদি পরিবহনের টহরহঃবৎৎঁঢ়ঃবফ ংঁঢ়ঢ়ষু পযধরহ গড়ে তোলার জন্য নতুন প্রতিটি ১,১৪,০০০ মেট্রিক টন ক্ষমতা সম্পন্ন ২ (দুই) টি নতুন ক্রুড অয়েল মাদার ট্যাংকার ও নতুন প্রতিটি ৮১,৫০০ মেট্রিক টন ক্ষমতা সম্পন্ন ২টি মাদার বাল্ক ক্যারিয়ার অর্জনের জন্য গৃহীত রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ “জি টু জি ভিত্তিতে ০২টি ক্রুড ওয়েল মাদার ট্যাংকার এবং ০২টি মাদার বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ নির্মাণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ঈযরহধ ঘধঃরড়হধষ গধপযরহবৎু ওগচ ্ ঊঢচ. ঈড়ৎঢ়ড়ৎধঃরড়হ এর সাথে কমার্শিয়াল/জাহাজ নির্মাণ চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। ইতোমধ্যে, প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য চীন সরকারের সম্মতি পত্র পাওয়া গেছে। সে মোতাবেক হালনাগাদ ডকুমেন্টসহ ঋণ আবেদন ( খড়ধহ অঢ়ঢ়ষরপধঃরড়হ)

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট চীনা পক্ষ বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। সর্বোপরি, ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরের পর জাহাজ নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করা হবে। কন্টেইনার পরিবহন বাণিজ্যে বৈশ্বিক ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনায় বিএসসির লাভজনক ও সফল অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণে নতুন ১২(বার)টি সেলুলার কন্টেইনার জাহাজ (প্রতিটি ২,৫০০ থেকে ৩,০০০ ঞঊটঝ) অর্জনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তারমধ্যে অংরধহ ওহভৎধংঃৎঁপঃঁৎব ওহাবংঃসবহঃ ইধহশ (অওওই) এর সহযোগিতায় ০৬টি কন্টেইনার জাহাজ নির্মাণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

গণতন্ত্রের অর্থ হলো- সকলের অধিকার সমুন্নত রাখা : আমীর খসরু মাহমুদ

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সরকারের ক্ষমতা কোনো রাষ্ট্রের জন্য ভালো নয়; জনগণের ক্ষমতাই রাষ্ট্রের জন্য ভালো বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিএনপি স্থায়ী কমিটির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, এটার জন্যই গণতন্ত্র। গণতন্ত্রের লক্ষ্য হলো জনগণের ক্ষমতার মাধ্যমে সরকারের ক্ষমতা ব্যালেন্স করা। আমরা জনগণের ক্ষমতায় ভিত্তি করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়তে চাই।ব্যবসায়ীদের এ সম্মেলন করার গুরুত্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই এক্সারসাইজটা আমরা আসলে গত ছয় মাস ধরে করছি। ইতোমধ্যে অনেকগুলো বিভাগে করেছি। আজকে চট্টগ্রামে করছি। শুধু ঢাকা বাকি রয়েছে। প্রায় সময় আমরা দেখেছি, ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন কাজে রাজনীতিবিদদের অর্থাৎ মন্ত্রী-এমপিদের কাছে যায়।

আমরা এই সিস্টেমটা ভাঙতে চাই। এই এক্সারসাইজের উদ্দেশ্য হলো- রাজনীতিবিদরা আপনাদের কাছে আসবে। সোমবার সকালে নগরের রেডিসন ব্লু হোটেলের মেজবান হলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবসায়ী ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত বাণিজ্য সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র রাজনীতিতে গণতন্ত্র করার মাধ্যমে রাষ্ট্রকে গণতান্ত্রিক করা যায় না। গণতন্ত্রের অর্থ হলো- সকলের অধিকার সমুন্নত রাখা। এজন্য আমাদের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এজন্য আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে- সিরিয়ার ডি-রেভুলেশন করা। এর মাধ্যমে আমরা দুর্নীতিবাজদের হাতে যে ক্ষমতা, সেটি ভেঙে দিতে চাই।

আমদানিকারকদের সুবিধা তৈরির লক্ষ্যে তিনি বলেন, প্রত্যেকটা বিষয়ে ব্যুরোক্রেসির হাত থেকে তুলে ব্যবসায়ীদের হাতে দিতে চাই। এজন্য ব্যবসায়ীদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি- আগামী দিনে যারা এক্সপোর্ট করবে তাদের আমরা ব্যাক-টু-ব্যাক সুবিধা দিবো। আরেকটি হলো অটোমেশন। সব ক্ষেত্রে অটোমেশন করতে হবে। এজন্য একটি সুপারভাইজারি কমিটি করা হবে। এতে একটা কনটেইনার আনতে যত কাজ করতে হয়, যত পারমিশন নিতে হয়, সব অটোমেশনের মাধ্যমে ওয়ান-স্টপ সার্ভিস চালু করতে হবে।

অনুষ্ঠানের বক্তব্যে বিজিএমইএ-এর প্রথম সহ-সভাপতি সেলিম রহমান বলেন, চট্টগ্রামে আরো ইপিজেড করা দরকার। যদি করেন আমরা ইন্ডাস্ট্রি করবো। পাশাপাশি এসএমই-কে উৎসাহিত করতে হবে। এছাড়া চট্টগ্রামে ব্যবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টিতে সহযোগিতা পেলে আমরা জাতীয় অর্থনীতিতে ভালো ভূমিকা রাখতে পারবো।
আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দিন বলেন, সড়কে দুর্ঘটনা বাড়ার অন্যতম কারণ হলো- আমরা অভিজ্ঞ চালক সৃষ্টি করতে পারিনি। এজন্য আমাদের কাজ করতে হবে। চালকদের প্রশিক্ষিত করতে পারলে আমরা দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো। এতে ব্যবসায়িকভাবেও আমরা লাভবান হবো।
চিটাগং উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি সুলতানা নূরজাহান রোজি বলেন, ব্যবসায়ীর জন্য জামানতবিহীন ঋণ ও প্রশিক্ষণ দরকার। প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা প্রয়োজন। আমি মনে করি, ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে আমরা স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ পেলে পরিবার উন্নত হবে, দেশ সম্বৃদ্ধ হবে।

এশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ সালাম বলেন, আমরা আমাদের ব্যবসাটা সহজ করে করতে চাই। এখানে অনেক ব্যবসায়ী আছেন। যারা পরিশ্রম করেছেন, মার খেয়েছেন কিন্তু টিকে আছেন। আমরা আমাদের কথা বলার সুযোগটা চাই। আপনারা এ সুযোগটা দিয়েন।
বারভিডার সাবেক মহাসচিব মো. হাবিবুর রহমান বলেন,চট্টগ্রাম বন্দরকে কোনোভাবে আঞ্চলিক মনে করবেন না। এটি জাতীয় বিষয়। আমি বিএনপির ৩১ দফা দেখেছি। এখানে বাণিজ্যিক প্রসঙ্গ আছে। তবু আরও কিছু আলোচনা করার আছে। এ বিষয়ে আমীর খসরু ভাইয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।

চেম্বারের সাবেক সভাপতি আলী আহম্মদের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন খাতুনগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মীর আব্দুস সালাম, বান্দরবান চেম্বার অব কমার্সের নির্বাহী সদস্য জসীম উদ্দিন, রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এডভোকেট মামুনুর রশিদ, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মানিক-উর রহমান, জুনিয়র চেম্বার চট্টগ্রামের সভাপতি জুনায়েদ আহমেদ রাহাত, চট্টগ্রাম ফার্নিচার প্রস্তুতকারক সমিতির সভাপতি মাকসুদুর রহমান, সি-কম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আমিরুল হক, বিজিএপিএমইএ ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শহীদ উল্লাহ চৌধুরী, প্যাসিফিক জিন্সের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, চট্টগ্রাম সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী প্রমুখ।

মনোনয়নপত্র নিলেন একসাথে সালাম পিন্টু ও সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে বিএনপির মনোনীত ২ প্রার্থী একসঙ্গে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর–গোপালপুর) বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আবদুস সালাম পিন্টু এবং টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে তার ছোট ভাই সুলতান সালাউদ্দিন টুকু মনোনয়নপত্র নেন।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে টাঙ্গাইল জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় থেকে তারা নিজ নিজ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ