আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে প্রতারণা ও ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি চক্রের টিমলিডার ও আত্মসাৎকৃত অর্থ অবৈধ প্রবাহ সিন্ডিকেটের শীর্ষস্তরের সদস্য গ্রেফতার।

প্রেস রিলিজ

ডিবি (বন্দর-পশ্চিম) বিভাগের টিম স্পেশাল কর্তৃক মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে প্রতারণা ও ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি চক্রের টিমলিডার ও আত্মসাৎকৃত অর্থ অবৈধ প্রবাহ সিন্ডিকেটের শীর্ষস্তরের সদস্য আত্মসাৎকৃত অর্থ ও ১৯টি সিমসহ গ্রেফতার।

চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী প্রতারণার মাধ্যমে মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ও ক্রেডিট কার্ড থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতে মহানগর গোয়েন্দা -বন্দর ও পশ্চিম বিভাগ চক্রের সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের লক্ষ্যে কাজ শুরু করে। এরই প্রেক্ষিতে ডিবি বন্দর ও পশ্চিম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত জনাব মুহাম্মদ আলী হোসেন মহোদয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ সামীম কবির মহোদয়ের দিক-নির্দেশনায়, সহকারী পুলিশ কমিশনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব কাজী মোঃ তারেক আজিজ মহোদয়ের নেতৃত্বে স্পেশাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোঃ হারুন অর রশিদ, এসআই (নি) মোঃ রাজীব হোসেন, এসআই (নি) রবিউল ইসলাম ও অন্যান্য সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে চট্টগ্রাম মহানগরের কোতোয়ালী থানাধীন নতুন রেলওয়ে স্টেশনের বিপরীত পাশে হোটেল প্যারামাউন্টের সামনে থেকে গত ২জানুয়াী২০২৪ তারিখ রাত১১টা১০ ঘটিকার সময় আন্তঃজেলা মোবাইল ফিনানশিয়াল সার্ভিস প্রতারক মোঃ সোহান মীর@ সোহাগ (৩৩), পিতা- মোঃ দাউদ মীর, মাতা- রেহানা বেগম, সাং- চৌগাছি মধ্যপাড়া, দাঁড়িয়াপুর ইউপি, ওয়ার্ড নং- ০২, থানা-শ্রীপুর, জেলা -মাগুরা-কে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১৯ (ঊনিশ)-টি মোবাইল সিম কার্ড, প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎকৃত নগদ ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা ও ০২ টি মোবাইল সেটসহ গ্রেফতার করা হয়।

ধৃত আসামি মোঃ সোহান মীর @ সোহাগ(৩৩) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তার নিকট হতে উদ্ধাকৃত সিমগুলো বিভিন্ন অপরিচিত ব্যক্তিদের নামে নিবন্ধনকৃত এবং প্রত্যেকটি সিমে অপরিচিত ব্যক্তিদের নামে মোবাইল ফিনানশিয়াল সার্ভিস মার্চেন্ট ও পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট নিবন্ধন করা। সে উক্ত সিমগুলো ও মোবাইল ফোনগুলো মোবাইল ফিনানশিয়াল সার্ভিস প্রতারণার কাজে ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল।

জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও জানায় যে, তার মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস নিবন্ধনকৃত সিমগুলো এবং ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করে প্রতিদিন ২,৫০,০০০/- থেকে ৩,০০,০০০/- টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয় তার অধীন চক্রটি। তার নিকট হতে উদ্ধার হওয়া ৩,০০,০০০/- টাকা গত ০২/০১/২০২৪ তারিখ প্রতারনার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা। ধৃত আসামি একজন পেশাদার মোবাইল ফিনানশিয়াল সার্ভিস প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং টিম লিডার। সে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে তার সাথে থাকা সিমগুলো দিয়ে মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস প্রতারণা করে আসছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও জানায় সে নিজে মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস প্রতারণা করার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এমএফএস প্রতারক ও ভুলিয়ে-ভালিয়ে ক্রেডিট কার্ডের তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া চক্রের সদস্যদের টাকা তার নিজস্ব মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস ও ব্যাংক একাউন্টে জমা নিয়ে সেই টাকার নিরাপদ অবস্থানের ব্যবস্থা করার বিনিময়ে মোটা অঙ্কের কমিশন গ্রহন করে। সে জানায়, ৬ জন পরিচিত প্রতারকসহ বিভিন্ন জেলার পঞ্চাশের অধিক প্রতারক তার একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে থাকে। উল্লেখ্য যে, এই চক্রের সাথে জড়িত হওয়ার পূর্বে সে রাজমিস্ত্রীর কাজ করত।এ সংক্রান্তে ৩ জানুয়ারী ২০২৪ কোতোয়ালী থানার মামলা নং- ০৩, ধারা- ২০০১ সালের বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ৭৩ তৎসহ পেনাল কোডের ৪০৬/৪২০ রুজু করা হয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বয়স্ক নারীর লাশ উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় হাত–পা বাঁধা অবস্থায় খাইরুন নেছা (৬০) নামের এক বয়স্ক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার রামচন্দ্রপুর মানিকের বাঁধ এলাকার পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত নারী হলেন ঐ এলাকার মৃত রজব আলীর মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, সকালেই মানিকের বাঁধের পাশে পানিতে ভেসে থাকা একটি লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তাঁরা পুলিশে খবর দিলে ভেড়ামারা থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তাঁকে হত্যা করে হাত–পা বেঁধে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে।

বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তদন্তে যা বের হবে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ