আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ও অসহযোগ আন্দোলন

ওবায়দুর রহমান, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ঃ

প্রতিরোধে গৌরীপুরে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

কোটাবিরোধী আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারী বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ও দেশ বিরোধী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গৌরীপুর উপজেলা লীগ।
রবিবার (৪ আগষ্ট) বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরস্থ জাতীয় সংসদ সদস্যের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে মিছিলটি বের হয়ে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ধানমহালস্থ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে শেষ হয়।
পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট নিলুফার আনজুম পপি’র সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় তিনি বলেন, যারা এই সকল ঝড় ঝঞ্জা উপেক্ষা করে ও সকল বিপদ মোকাবেলা করে সব সময় বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সকল আদেশ-নির্দেশ ও লড়াই সংগ্রামে এক থেকে প্রতিমূহুর্তে আমরা আমাদের কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছি তেমনি আজকেও জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে সারা বাংলাদেশ থেকে বিএনপি-রাজাকার ও তার দোসর জামায়াত শিবিরকে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। আমরা সর্বোচ্চটুকু ধৈর্য্য দেখিয়েছি। নেত্রী শেখ হাসিনা তাদের প্রতিটি দাবী মেনে নিয়েছেন, সহনশীলতা দেখিয়েছেন, উদারতা দেখিয়েছেন, তাঁর এই উদারতাকে অনেকেই মনে করেছে দুর্বলতা। জননেত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু তাদের আদর্শের প্রতিটা সৈনিক প্রতি মূহুর্তে প্রমাণ করেছে তারা বাংলাদেশকে ও আওয়ামী লীগকে জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে এক এবং ঐক্যবদ্ধ।”
তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত মনে করেছিলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দুর্বল হয়ে গেছে সেটা ভাবার কোন কারণ নাই। আজকে থেকে প্রতিটা মহল্লায়, ওয়ার্ডে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিটা নেতা ও কর্মী, সংগঠনের প্রতিটা ভাই ও বোন আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশের এই গণতান্ত্রিক আন্দোলন, লড়াই-সংগ্রাম এবং উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও তার আদর্শে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোমনাথ সাহা।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ সোহেল রানা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন জুয়েল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, আঃ মুন্নাফ, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন খান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের গৌরীপুর উপজেলা শাখার সভাপতি ম.নূরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম হবি, ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী, আল ফারুক, আব্দুল্লাহ আল আমীন জনি, আল মুক্তাদীর শাহীন, সালাহ উদ্দিন কাদের রুবেল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মোঃ কামাল হোসেন, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আবুল হাশিম, সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর মিলন, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলী আহাম্মদ খান পাঠান সেলভী, গৌরীপুর সরকারি কলেজের সাবেক জি.এস মাজহারুল ইসলাম টুটুল, সাবেক কাউন্সিলর আঃ কাদির, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নাজিমুল ইসলাম শুভ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ রাসিকসহ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

‎শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বদলি জনিত বিদায় সংবর্ধনা

‎সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে মানবিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা হল রুমে এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মুশফিকুর রহমান,উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাসুদ রানা,থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম আলী,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ – আল মামুন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ এস এম শাহাদাত হোসেন, উপজেলা প্রার্থমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মুরাদ হোসেন সহ উপজেলার সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগণ। অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ,

উপজেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব ও এলাকার সূধী মহল। প্রায় দুই বছর যাবৎ ধরে মোঃ কামরুজ্জামান এই উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। এই দুই বছরে তিনি উপজেলায় প্রায় সকল মানুষের মন জয় করেছিলেন। বিশেষ করে দুস্থ অসহায় মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা করেছেন তিনি। উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজও করেছেন তিনি। উপজেলার ঐতিহ্যবাহী হযরত মখদুম শাহদৌলা শহীদ ইয়েমেনী (রহ.) এর মাজারের কাজ দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ ছিলো সে কাজ এখন সম্পন্ন হওয়ার পথে এই কাজটা নির্বাহী মোঃ কামরুজ্জামানের অবদান, উপজেলার পৌর শহরটাকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনতে উপজেলার প্রধান প্রধান পয়েন্ট তিনি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু করেছিলেন। উপজেলা পরিষদের পুকুরটি দীর্ঘ দিন যাবৎ অবহেলিত হয়ে পরেছিলো তিনি পুকুর সংস্কারের কাজ করে সেখানে মানুষের বিশ্রামের উপযোগী করে তুলেছেন। উপজেলার পৌর পার্কের উদ্ধোধন ও করেছেন তিনি। শুধু তাই নয় তিনি অসহায় দুস্থ গরীবের সন্তানদের লেখা পড়ার সুযোগসহ তাদের পাশে দ্বাড়িয়েছিলেন কন কনে শীতের মধ্যে রাতে পৌর শহরে নিজে ঘুরে ঘুরে শীতার্ত মানুষকে খুজে বের করে সরকারি অনুদানের কম্বল বিতরণ করেছিলেন। এক কথায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান ছিলেন একজন মানবিক নির্বাহী কর্মকর্তা। তার আচারনে শাহজাদপুরবাসী মুগ্ধ। তার বিদায় বেলায় শাহজাদপুরের বেশির ভাগ সাধারন মানুষ অশ্রু সিক্ত।

‎শাহজাদপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে দলিল পুড়িয়ে ধ্বংস।


‎সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে মালিক শনাক্ত না হওয়া বিপুল সংখ্যক নিবন্ধিত দলিল আনুষ্ঠানিকভাবে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
জানা যায় ২০১৭ ও ২০১৮ সালে নিবন্ধিত এসব দলিল ডেলিভারি না নেওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে অফিসে জমিয়ে রাখা ছিলো। মালিকানা যাচাইয়ের জন্য একাধিকবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও নির্ধারিত সময়ে কেউ উপস্থিত না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ দলিলগুলো ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নেয়।

উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ রবিউল ইসলাম বলেছেন, মালিকবিহীন দলিল সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা নেই এবং নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি এড়াতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নোটিশ প্রকাশ, সময়সীমা প্রদান ও যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করার পর দলিলগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, মালিকহীন দলিল অনেক সময় দালালচক্রের অপব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ