আজঃ মঙ্গলবার ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

বাংলাদেশে প্রায় দুই কোটিরও বেশি মানুষ কিডনি রোগে ভুগছেন।

প্রভাষক গিয়াস উদ্দিন সরদার পাবনা প্রতিনিধি।

তাদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক ও হাসপাতাল খুবই অপ্রতুল

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

দেশে প্রায় দুই কোটিরও বেশি মানুষ কিডনি রোগে ভুগছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক ও হাসপাতাল খুবই অপ্রতুল। ফলে অনেকেই যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। আবার সার্মথ্য না থাকায় চিকিৎসার অভাবে অনেক রোগী মারা যায়। জন চেতনা বাড়ানো ও সঠিক সময়ে চিকিৎসা করলে কিডনি রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। পাবনায় কিডনি ফাউন্ডেশনের নবম বার্ষিক সভা ও বৈজ্ঞানিক সেমিনারের এ তথ্য জানানো হয়।

ডায়ালসিসের আগেই কিডনি ট্রান্সপ্লান্টেশন করা গেলে রোগীর সুস্থতার সম্ভাবনা বেশি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। পাবনার বনগ্রামে অনুষ্ঠিন এ বৈজ্ঞানিক সেমিনারে চিকিৎসকরা জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় দুই কোটিরও বেশি মানুষ কিডনি রোগে ভুগছেন। প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনি রোগ চিহ্নিত করা গেলে রোগী সহজেই সুস্থ হতে পারে। ডায়ালসিসের আগেই কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করলে রোগী তুলনামূলক বেশিদিন সুস্থভাবে বাঁচতে পারে।

বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও গবেষণা ইন্সটিটিউট পাবনার সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ সাকিব উজ জামান আরেফিন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দেশবরেণ্য কিডনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ হারুন অর-রশিদ।

বৈজ্ঞানিক সেমিনারে কিডনি চিকিৎসা ও প্রতিস্থাপনের নীতিমালা, চিকিৎসার বিভিন্ন সুবিধা অসুবিধা তুলে ধরার পাশাপাশি নবীন চিকিৎসকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ডাঃ আবু সাঈদ, অধ্যাপক ডাঃ খাজা নাজিমুদ্দিন, অধ্যাপক ডাঃ এ এইচ এম রওশন, কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক টিনি ফেরদৌস রশিদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাঃ হারুন অর রশিদ বলেন, দেশে কিডনি রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। সচেতনতা ও সঠিক সময়ে চিকিৎসায় এই রোগ মোকাবেলা সম্ভব।

ইনসেপ্টা ও কিডনি ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে ব্যয়বহুল কিডনি রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় সচেতনতা সৃষ্টিতে পাবনায় সায়েন্টিফিক সেমিনারে পাবনার ৬০ জন নবীন চিকিৎসক ছাড়াও শতাধিক কিডনি রোগী ও রোগীর স্বজন অংশ নেন।এ সময় কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট সচেতনতা, একিউট কিডনি ইনজুরি, ফ্যাটি লিভার ডিজিস, গোসেরুলোনেফ্রাইটিস আধুনিক ব্যাবস্থাপনা বিষয়ে ধারণা দেয়া হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে সাবেক মন্ত্রী আনিসুলের বাড়ি ভাঙচুর, আগুন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের (এনডিএফ) সভাপতি ও জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদের গ্রামের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১২টার দিকে গুমানমর্দন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) কাজী মো.তারেক আজিজ বলেন, আনিসুল ইসলাম মাহমুদের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে এবং জড়িতদের শনাক্তে কাজ চলছে।


প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি দল ব্যক্তিগত গাড়ি ও মাইক্রোবাসে করে ঘটনাস্থলে এসে আনিসুল ইসলাম মাহমুদের বাড়িতে প্রবেশ করে। তবে ঘটনার সময় তিনি ও তার পরিবারের কেউ বাড়িতে ছিলেন না। হামলাকারীদের মুখে মাস্ক এবং হাতে অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা ছিল। হামলাকারীরা বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে একপর্যায়ে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে বাড়ির সামনে থাকা একটি প্রাইভেট কার পুড়ে যায়। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

চট্টগ্রামের চকবাজারে আগুনে পুড়ল ভাঙারির দোকান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার এলাকায় আগুনে পুড়ে গেছে একটি ভাঙারির দোকান। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে তেলিপট্টি রোডে এ ঘটনা ঘটে।আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, সকালে ওই দোকানে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে ১১টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক আবদুল মান্নান জানান, তেলিপট্টিতে একতলা একটি ভবনের নিচতলায় ওই ভাঙারির দোকানে আগুন লাগে। এ ঘটনায় কেউ আহত হননি। কীভাবে আগুন লেগেছে, ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ কত, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ